রেলের সম্পদ দখলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারসহ সাত বছরের দন্ডের বিল পাস সংসদে

ঢাকা: রেলওয়ের সম্পত্তি চুরি, অবৈধ দখলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারসহ সর্বোচ্চ সাত বছরের দণ্ড এবং দখলে সহায়তার জন্য পাঁচ বছরের দণ্ডের বিধান রেখে রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) বিল- ২০১৬ সংসদে পাস হয়েছে।

রোববার বিলটি পাস হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এরআগে বিলটির ওপর আনীত বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবসমুহ কন্ঠভোটে সংসদে নাকচ হয়ে যায়। সংসদের চলতি অধিবেশনে গত ৯জুন বিলটি উত্থাপিত হয়।

বিলে বলা হয়েছে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের কাছে যদি মনে হয় কোনো ব্যক্তি এই আইনের আওতায় অপরাধ করছেন তবে বিনা পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাহিনীর কর্মকর্তারা কোনো ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া, দলিল দাখিল বা উপস্থিতি নিশ্চিতে সমন জারি করতে পারবেন। কোন স্থানে রেওয়ের চুরিকৃত বা অবৈধভাবে অর্জিত রেল সম্পত্তি জমা বা বিক্রির জন্য ব্যবহৃত হওয়ার খবর থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী আদালতের অনুমোদন নিয়ে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা ও মালামাল জব্ধ করতে পারবেন। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষ অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, যানবাহন বাজেয়াপ্ত করতে পারবে এবং তা রেলওয়ের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, উচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল হয়ে গেলে ১৯৭৯ সালে জারি করা দ্যা রেলওয়ে প্রোপারটি (আন ল’ফুল পজেশন) অর্ডিন্যান্সটির কার্যকারতা লোপ পায়। পরে ২০১৩ সালে কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ বিশেষ বিধান আইন প্রণয়ন করা হয়। তারই আলোকে রেলওয়ে সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।