না’গঞ্জে পুলিশসহ দুই সোর্সকে গণধোলাই

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের কালীরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগে সদর মডেল থানার এক এএসআইসহ দুই সোর্সকে  গণধোলাই  দিয়েছে  ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।

বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি। চোরাই স্বর্ণ বিক্রেতা ও এক সোর্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চোরাই আট আনা স্বর্ণ।

কালীরবাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বুধবার সদর থানার এএসআই আশরাফ তার সোর্স লিটনকে পাঠায় একটি ছেঁড়া চেইন বিক্রি করতে। সোর্স লিটন কালীরবাজার স্বর্ণপট্টিতে নোয়াব মার্কেটের পান্ডব রায়ের মালিকানাধীন ‘মা তাঁরা’ স্বর্ণ শিল্পালয়ে যায় চেইন বিক্রি করতে। কিন্তু দোকানের কর্মচারীরা চেইন কিনতে অস্বীকৃতি জানায়।

 এর কিছুক্ষণ পর  নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই আশরাফ মোটরসাইকেলে আরেক সোর্স ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে সাদা পোশাকে  লিটনকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে ব্যবসায়ীরা একযোগে দোকান থেকে বের হয়ে আসেন।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা এএসআই  আশরাফ ও সোর্স  লিটনকে নিয়ে মার্কেটের দোতলায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর মধ্যে মার্কেটের সব ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় পুলিশের শাস্তির দাবিতে মিছিল করতে থাকেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা পর  এএসআই আশরাফ তার কথিত চোরাই স্বর্ণ বিক্রেতা লিটনকে নিয়ে বের হয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত জনতা আশরাফ ও লিটনকে গণপিটুনি দেয়। জনরোষ থেকে বাঁচতে আশরাফ লিটনকে নিয়ে পুনরায় দোতলায় আশ্রয় নেয়।

এর কিছুক্ষণ পর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন।

তিনি তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে আশরাফ ও লিটনকে পুলিশ ভ্যানে ওঠানোর সময়ও জনতা তাদের গণধোলাই দিতে থাকে। গণপিটুনি খেতে খেতেই তারা থানার উদ্দেশে রওনা হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশকে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ চোরাই স্বর্ণ বিক্রেতাকে ধরতে কালীরবাজার স্বর্ণপট্টিতে যায়। এ সময় এএসআই চোরাই স্বর্ণ যে দোকনে বিক্রি করতে গিয়েছিল তার নাম জানতে গেলে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে।’