পাইকারি বাজারে আবারো বাড়লো চালের দাম

ঢাকা: রাজধানীর পাইকারি বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম, সরবরাহেও সৃষ্টি হয়েছে সংকট। পাইকাররা বলছেন, মিল পর্যায়ে সরকারি নজরদারির অভাব না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন মিল মালিকরা। এদিকে কিছুটা বেড়েছে চিনির দাম, তবে স্থিতিশীল রয়েছে ভোজ্যতেলের বাজার। এছাড়া বেড়েছে দেশি পেঁয়াজ আর আমদানি করা চীনা রসুনের দাম, আগেই বেড়ে যাওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ছোলা আর মশুর ডাল। দীর্ঘদিন ধরেই কখনও স্থিতিশীল আবার কখনও ঊর্ধ্বমুখী দেশের চালের বাজার। সে চিত্রে কোনো পরিবর্তন নেই চলতি সপ্তাহেও, বরং প্রতিকেজি চালের দাম আবারো বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে, মিনিকেট ৬০, মোটা পারিজা ৪৬, আর গুটি স্বর্ণা ৫০ টাকা। দাম তো কমছেই না, উল্টো চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ পাইকার ভুগছেন চালের সরবরাহ সংকটেও।

বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলুর, বেচাকেনাও ভালো। তবে, কিছুটা বেড়েছে দেশী পেঁয়াজ আর চীনা রসুনের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে আদা আর আলুর বাজার দর। চিনির দাম নতুন করে না বাড়লেও, বিক্রি হচ্ছে আগের বেড়ে যাওয়া দরেই। কমেনি ছোলা আর মশুর ডালের দামও। যদিও খোলা সয়াবিন আর কয়েকটি ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিনের দাম কমেছে লিটারে ৪ টাকা পর্যন্ত। বড় কোনো পরিবর্তন নেই মশলার বাজারেও। স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের গুড়োদুধের দাম।