প্রতিটি নাগরিকের জন্যই পেনশন চালু হবে : বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী
ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাকেও পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনার নিয়েছে সরকার। একটি বর্তমান প্রচলিত পেনশন পদ্ধতির পরিবর্তে সমন্বিত পেনশন পদ্ধতির প্রবর্তন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন, যাদের পেনশন সুবিধা আছে। অন্যদিকে ব্যক্তিখাতের ৯৫ শতাংশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত প্রায় ৮ শতাংশের কিছু গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও বাকিদের জন্য কোনো পেনশন বা গ্রাচ্যুইটি নেই। তাই সকল শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীসহ প্রবীণদের জন্য একটি সার্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি।
আমরা পেনশন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করার কথা ভাবছি। এতে ভবিষ্যতে যোগদানকারী সকল সরকারি চাকরিজীবীর জন্য বিদ্যমান পেনশন পদ্ধতি পরিবর্তন করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পেনশন পদ্ধতি চালু করা হবে, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আধা-সরকারি ও ব্যক্তিখাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে বা স্ব-কর্মসংস্থানে নিযুক্ত কর্মজীবীসহ সকল স্তরের জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সমন্বিত কাঠামোর আওতায় সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ডিপিএস ব্যবস্থা যেভাবে বেসরকারি খাতে একটি পেনশন সুযোগ করে দিয়েছে, এখন এটাকে সার্বজনীন করার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়- সেটিই হবে নতুন পরিকল্পনার ভিত্তি। এ ব্যবস্থায় একদিকে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে দেশের আর্থিক খাতের গভীরতা নিশ্চিতসহ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ চাহিদা পূরণে সহায়ক তহবিল সৃষ্টি হবে।