ফ্রান্স ও জর্ডানকে পাশে চায় পাকিস্তান

ফ্রান্স ও জর্ডানকে পাশে চায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনায় কূটনৈতিক সহায়তা পেতে এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোন ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষায় পাকিস্তান যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে বুধবার টেলিফোনে এ দুই নেতার সঙ্গে ইমরান খান কথা বলেছেন।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে ডন ও জিয়ো নিউজের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোনকে কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফোনালাপে ইমরান খান বলেন, হিমালয় অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিলের মাধ্যমে মূলত ওই অঞ্চলের পরিচিতি মুছে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারত। যেটি জাতিসংঘের গৃহীত সিদ্ধান্তের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উপত্যকাটিতে গণহত্যার আশংকার কথা জানিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নতুন কোনো ইস্যু সৃষ্টির তৈরির মাধ্যমে ভারত সরকার কাশ্মীর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করছে।

সাবেক এই ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেন, বিশ্ব শক্তিকে কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে সেখানে গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছে মোদি সরকার।

জবাবে ম্যাঁক্রোন জানান, কাশ্মীর নিয়ে সৃষ্ট সংকট ফ্রান্স গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এদিকে আলাদা ফোনালাপে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গেও কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীরি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার বিষয়ে জর্ডানের বাদশাহকে অবহিত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীরি জনগণের অধিকার রক্ষায় ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচ সদস্য, সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।