জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

ঢাকা: দ্রোহ, সাম্য, মানবতা ও শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে আসা আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। জাতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায় দিনটি উদযাপন করবে। মূলত বিদ্রোহী হলেও নজরুল ছিলেন চির তারুণ্য ও জাতীয় মুক্তির কবি। তিনি বিশ্ব মানবতার মুক্তির কবি। তিনি ১৩০৬ ফসলী সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হবে কবিকে নিয়ে নিবন্ধ। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান মালা। এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। এদিন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকাল ৩টা ৩০মিনিটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নজরুল ইন্সটিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। কবির ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিরোধী সৈনিক নজরুল’।

জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর ও চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।

নজরুল ইন্সটিটিউট জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে এবং কাজী নজরুল ইসলামকে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পরিচিত করার লক্ষ্যে কবির পোস্টার ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

নজরুল বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন।

স্বাধীনতার লাভের পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।