গুলশানে নিহতদের স্মরণে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে মুষ্টিমেয় বিপথগামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি, কমিউনিটি পুলিশ এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাস মোকাবেলায় এগিয়ে আসারও উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (২৬ রমজান) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা ও আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে হলি আর্টিজেন বেকারিতে জিম্মি সংকটের ঘটনা ও এর সমাধানে সরকারের সফল কার্যক্রম এবং এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গতরাতে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়। সেখান অবস্থানরত নিরস্ত্র, বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি এবং হত্যাকাণ্ড শুরু করে’।

‘পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা যখন এশা ও তারাবির নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন এই হামলা ধর্ম ও মানবিকতাকে অবমাননা করেছে। এই বর্বর ও কাপুরুষোচিত আক্রমণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশে নজিরবিহীন’।

জিম্মি সংকট সমাধানে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হামলার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার সরকার দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নেয়। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌঁছান এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ-বাহিনীর কমান্ডোরা অভিযানে অংশগ্রহণ করে আজ সকালে জিম্মিদের মুক্ত করে আনেন’।

‘৬ জন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তিনজন বিদেশিসহ ১৩ জন জিম্মিকে আমরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সমর্থ হই’।

এ অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য বাহিনীর যেসব সদস্য অংশ নিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নেতারা যারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।