মঙ্গোলিয়ায় প্রচন্ড শীতে গবাদি পশু মারা যাওয়ায় হুমকির মুখে জীবিকা

ডেস্ক: রাশিয়া ও চীনের মধ্যবর্তী পূর্ব এশিয়ার ভূ-বেষ্টিত দেশ মঙ্গোলিয়া। বিশ্বের সার্বভৌম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঘন বসতিপূর্ণ এ দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন কাল থেকেই পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে যাযাবরেরা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ুর বৈরী প্রভাবের কারণে ব্যাপকভাবে গবাদি পশু মারা যাওয়ায় তাদের জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। তাই অনেকেই পূর্ব পুরুষের পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে।

মঙ্গোলিয়ার যাযাবরদের এখন পশু নিয়ে চারণভূমিতে ঘুরে বেড়ানোর সময়। কিন্তু তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে থাকায় এবং ভারী তুষারপাতের কারণে তৃণভূমির দেখা নেই বললেই চলে।

একজন বলেছে, ঘাসের মাঠ কয়েক ইঞ্চি তুষারে ঢাকা পড়েছে। তুষারের আস্তরণ সরিয়ে মেষগুলোকে ঘাস খেতে হয়। এতে পশুগুলোর খাবারের চাহিদা মিটে না।

গত কয়েক বছর ধরেই ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতের সময়টাতে গবাদি পশুর খাবারের জন্য গ্রীষ্মকালের মজুদকৃত শুকনো খড় কিংবা কেনা ঘাসের ওপর নির্ভর করতে হয় মঙ্গোলিয়ার এ যাযাবরদের।

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড তাপ ও শীতে ব্যাপক তুষারপাতে গত বছর অন্তত ১০ লাখ গবাদি পশু মারা গেছে। এতে আর্থিক সংকটে পড়ে অনেকেই পূর্ব পুরুষের পশুপালন পেশা ছেড়ে কারখানা কিংবা পর্যটন সংশ্লিষ্ট জীবিকা বেছে নিচ্ছে।

একজন বলেছে, পশু পালন করে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আগে যেখানে প্রতিটি পরিবারে শত শত গবাদি পশু থাকতো, এখন সেখানে মাত্র ২০-২৫টি আছে।’

১৫ লাখ ৬৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের মঙ্গোলিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৩১ লাখ। মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশই যাযাবর। দেশটিতে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ খুব কম থাকায় প্রাচীন কাল থেকেই পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে এ যাযাবরেরা।