বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ
ঢাকা: পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বাংলা নববর্ষ উদযাপন বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জারি করা সার্কুলার বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার শিক্ষা সচিব, সংস্কতি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবরে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলারটি বাতিল অথবা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ মার্চ সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাউশি থেকে একটি সার্কুলার পাঠানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, পহেলা বৈশাখ বাঙলা বর্ষ গণনা থেকে শুরু হয়েছে। অথচ মঙ্গল শোভাযাত্রা সর্বপ্রথম আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে যার নামকরণ করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হিন্দু সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, হিন্দুরা যুদ্ধ দেবতা হিসেবে মঙ্গল পূজা করে, পূজায় ব্যবহৃত প্রদীপকে মঙ্গল প্রদীপ, হিন্দুদের বিবাহের প্রথম উৎসবকে বলা হয় মঙ্গলাচারণ। তাই পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানের ৪১ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করে সার্কুলারটি বাতিল চাওয়া হয়।
এদিকে, প্রতি বছরের মতো এবছরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পহেলা বৈশাখকে নওরোজ হিসেবে পালনে নিরুৎসাহী করে প্রচুর লেখালেখি করে যাচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং সচেতন মহল। পাশাপাশি এবছর সরকার কর্তৃক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাধ্যতামূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ বাতিলের জন্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
শ্লীলতাহানী, হয়রানীর অভিজ্ঞতার আলোকে এখন অধিকাংশ সচেতন তরুনীরাও এখন পহেলা বৈশাখকে ‘না’ বলছে।