ফের প্রশ্নের মুখে মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা

ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদৌও স্নাতক কিনা তা নিয়ে আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হল। দিল্লি নিবাসী রাজেন্দর সিং তথ্য জানার অধিকারে (আরটিআই) আবেদন করে মোদির স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি এবং ১৯৭৯ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের তালিকা দেখতে চেয়েছেন। কারণ দিল্লি ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় যে তথ্য দিয়েছে তাতে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজেন্দর সিং। যদিও কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বিষয়টি দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাই এখন এ সংক্রান্ত কোনও আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না।

সিআইসির কমিশনার মঞ্জুলা প্রসেরের কাছে দিল্লির রাজেন্দর সিং নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে আরটিআই করেন। কিন্তু চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে এ সংক্রান্ত মামলা দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। তাই সিআইসি কোনও ভাবেই আরটিআইয়ের জবাব দিতে পারবে না। গত বছরই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মোদির বিএ ডিগ্রির ওপর অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও নথি তারা দেখাতে পারেনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন রাখার কোনও বিষয় এখানে নেই। যেটা সত্যি সেটাই সিআইসিকে জানিয়েছি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেজরিওয়ালের করা আরটিআইয়ের পরেই সিআইসি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে মোদির রোল নম্বর চেয়ে পাঠায়। যাতে ওই নম্বরটি ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তাঁর ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারে। দিল্লি ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়, ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র দামোদর মোদি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হন। এরই মাঝে বিজেপির শীর্ষ নেতা মোদিকে বাঁচাতে ময়দানে নেমে পড়েন। গত বছরের মে মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দিল্লি ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের মোদির শিক্ষাগত তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। এই ঘটনার একদিন আগেই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতায় অনুমোদন দেয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, আগে থেকে বিজেপির দুই নেতার কাছে মোদির ডিগ্রির প্রমাণ কী করে এল?