মিতু হত্যায় অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার ভোলার, দাবি পুলিশের

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার জন্য অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার এহতেশামুল হক ভোলা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাশ ভট্টাচার্য্য।

সংবাদ সম্মেলনে দেবদাশ ভট্টাচার্য্য জানান, মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে মিতু হত্যার অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে তার সহযোগী মনিরের কাছ থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি রিভলভার ও একটি পিস্তল। এই সময় ভোলার সহযোগী মনিরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

দেবদাশ ভট্টাচার্য্য আরো জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সরবরাহের কথা ভোলা স্বীকার করেছেন। হত্যাকারীরা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার পর অস্ত্রগুলো ভোলাকে ফেরত দেয়। এরপর ভোলা অস্ত্রগুলো তার সহযোগী মনিরের কাছে সংরক্ষিত রাখেন। মিতু হত্যা মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার দুজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এদিকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা ও মনিরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার আকনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। এ বিষয়ে আরো শুনানির জন্য পরবর্তীতে দিন নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে আদালত দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান দুপুরে ভোলা ও মনিরকে ৫৮ (৬) ২৬ নম্বর অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান দুজনকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার ভোররাতে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত দুটি অস্ত্রসহ সরবরাহকারী ভোলা ও তার অপর এক সহযোগী মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোলা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু হত্যার অস্ত্র সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে তাদের আরো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

এদিকে নগর পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইন, জননিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনে ভোলা ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
উল্লেখ্য, এর আগে মিতু হত্যার ঘটনায় আনোয়ার ও ওয়াসিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুজন ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন।