জাতীয় পর্যায়ে মিলাদ কিয়ামের বাহাসে কওমী উপস্থিত হয়নি

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল আলোচিত বিষয়ছিলো ২৫ মে জাতীয় পর্যায়ে মিলাদ কিয়াম বিষয়ে বাহাস অনুষ্ঠান। গতকাল ২৫ মে বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারস ইনষ্টিটিউশনে বহুল আলোচিত ও বহুল প্রতিক্ষিত জাতীয় পর্যায়ে মিলাদ কিয়াম বিষয়ক বাহাস অনুষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ও স্থানে মিলাদ কিয়াম বিরোধী পক্ষ ক্বওমী পন্থী আলেম-ওলামারা উপস্থিত হয়নি। এদিকে  মিলাদ কিয়াম বিরোধী লোকজন নির্ধারিত সময় পার হওয়ার এক ঘন্টা পরও উপস্থিত না হওয়ায় মিলাদ কিয়ামের পক্ষের প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ও তার সাথের মুবাহিসগণ কোরআন, হাদিস, তাফসীর, ফিক্হ ও ফাতাওয়ার কিতাব থেকে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে বরাতসহ দলিল তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বিরোধী পক্ষের পূর্বসূরী মাশায়েখগণের লিখিত কিতাব থেকেও বরাতসহ মিলাদ ও কিয়ামের পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন বাহাসের বিষয়ে দু’পক্ষের চুক্তিনামায় উল্লেখ ছিল যে পক্ষ বাহাসে উপস্থিত হবে না তারা পরাজিত বলে গণ্য হবে।
বাহাসে মিলাদ কিয়াম বিরোধীরা উপস্থিত না হওয়ায় চুক্তি অনুযায়ী তারা পরাজিত হয়েছে। উল্লেখ্য মিলাদ কিয়ামের বিরোধীগণ যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় বাহাস হবে বলে প্রচার করলেও সেখানেও তারা কেউ উপস্থিত হননি। মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। প্রিন্সিপালও উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে বি-বাড়িয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক তাকওয়া (অনলাইন)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন হুবহু তুলে ধরা হলো-
“যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার গেট বন্ধ ছিল। প্রহরীকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে, এখানে কোন বাহাস হবে না যার সুচিত্র প্রতিবেদন আপনারা দেখেছেন । যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার পিছন দিয়ে বারান্দায় উঠে ৬ মিনিট লাইভ অনুষ্ঠান করে সেখান থেকেও ফরায়েজী পালিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চলে যায় ।।
প্রশ্ন হল কেন ??
১.. বাহাসের দিন বাহাস না করে সংবাদ সম্মেলন কেন ??
২.. মিলাদ কিয়ামের পক্ষে প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী উপস্থিত হয়েছে । কিন্তু যাত্রাবাড়ীতে তাদের প্রধান মুবাহিস দেলোয়ার হোসাইন বা মিজান সাঈদ উপস্থিত হলেন না কেন ??
৩.. ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আব্বাসী হুজুর ও হুজ্জাতুল্লাহ সাহেব প্রচুর কিতাব নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, যা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে । কিন্তু মৌলভী ফরায়েজী দু তিন জন নিয়ে যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার সম্মুখ গেট দিয়ে নয় বরং পিছন দিয়ে চোরের মতো পালিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন । তাদের হাতে ও আশে পাশে কোন কিতাবও ছিল না । এসব প্রশ্নের উত্তর থেকে স্পট বুঝা যায় মিলাদ কিয়াম বিরোধীদের বাহাসে কোন নিয়তই ছিল না । অথচ চুক্তিনামা অনুযায়ী ও মিজান সাঈদের কথা অনুযায়ী নির্ধারিত যায়গায়ে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে আব্বাসী হুজুর ও সকল মুবাহিসগণ উপস্থিত হন । এবং সকাল ৮.৩০ থেকে বেলা ১১ টা অবস্থান করেন । মিলাদ কিয়াম বিরোধীগণ উপস্থিত না হয়ে চরমভাবে পরাজিত হয় ও বাহাস থেকে পালিয়ে অস্তিত্ব রক্ষায় এখন কথিত সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করছে । আর এটা তাদের নতুন নয় পুরানো অভ্যাস । ফরায়েজীর মতো নাদান, নাসমজ মিথ্যাচার করলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নয় । কিন্তু মিজান সাঈদ ও দেলোয়ার মৌলভীরা যখন মিথ্যাচার করে তখন তা ভাবতেও অবাক লাগে । আর তাদের মিথ্যাচার প্রমাণে ফাউন্ডেশনের ডিজি, মাহমুদুল হাসান ও মিজান সাঈদের রেকর্ড যা সোশাল মিডিয়াতে বহুবার প্রচার হয়েছে সেটা যতেষ্ঠ।”
বাহাস অনুষ্ঠানে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ছাড়াও ড. হুজ্জাতুল্লাহ নকশেবন্দী, মাওলানা মাঞ্জুর হুসাইন সহ প্রায় সকল মুবাহিস উপস্থিত ছিলেন। গণ্যমান্য অন্যান্য উলামায়ে কেরামের মধ্যে মাওলানা ইমদাদুল আব্বাসী, মাওলানা এহসান উল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা নেয়মাতুল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা তামিম বিল্লাহসহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ কিয়ামের পক্ষে প্রধান মুবাহিস ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বিপুল জনতার উপস্থিতিতে মিলাদ কিয়ামের পক্ষে বিজয় ঘোষনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।