কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সক্রিয় মসলা সিন্ডিকেট

পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষ হলো মাত্র কয়েকদিন। ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ আসতে দেড় মাসেরও বেশি সময় বাকী। কিন্তু এরই মধ্যে কোরবানির ঈদের অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্য মসলা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তেলেসমাতি কারবার।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের তরফ থেকে অভিযোগ উঠেছে, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই সক্রিয় হচ্ছে মসলার সিন্ডিকেট। তারা সরকারের বাজার তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে থেকেই তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মসলা সিন্ডিকেট এবার টার্গেট করেছে রসুন ও আদাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদে প্রায় সব মসলার দামই বাড়তি থাকে। বলতে গেলে এটা একরকম নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে মসলার বাজারে এবার উত্তাপ ছড়াবে রসুন ও আদা- এ আশঙ্কা করা হচ্ছে। মসলা আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের আলোচনাতেও এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ পেয়েছে। যদিও তারা বলছেন, এই দুটি পণ্যের সাথে যোগ হবে সয়াবিন তেল, শুকনো মরিচ ও হলুদ। অবশ্য, এরই মধ্যে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানীর ঈদের আগে এসব পণ্যের দাম আর কমবে না।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মসলা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য থাকে সারা বছরের লাভ কোরবানীর ঈদ মৌসুমেই তুলে নেওয়া। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে গরম মসলার চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও শুকনা মরিচের চাহিদাও বাড়ে। চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানিও বাড়ান। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জোগানও বাড়ে। কিন্তু বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ইচ্ছেমতো এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারো তেমনটিই ঘটতে যাচ্ছে। রোজার ঈদের সময় মসলার দাম সেই যে বেড়েছে, তা এখন পর্যন্ত কমেনি। দিনে দিনে দাম কেবল বাড়ছেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মসলা ও বিভিন্ন পণ্যের দাম আরও বাড়তে শুরু করবে বলে তারা ধারণা করছেন।