রোহানের মতো অনেক ধনী ছেলেদের নিখোঁজের সংবাদ পাচ্ছি : রোহানের বাবা

ডেস্ক: গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী হামলাকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। হামলার ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিতর্কিত সাইট ইন্টেলিজেন্স ‘আইএস’ দাবি করে যে ৫ জনের ছবি প্রকাশ করে তার মধ্যে রোহানের ছবিও ছিলো।

রোহানের ব্যবসায়ী বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল তার পুত্রের অস্ত্রধারী ‘আইএস’ পোশাকে ছবি দেখে পুত্র রোহানকে আবিস্কার করেছিলেন বটে তবে রোহানের চরিত্র ও তার চেহারার মাধুর্যতার কোন মিল খুঁজে পাননি।

গতকাল বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে রোহানের বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল যে তথ্য দিলেন তা অনেকটা শংকিত হওয়ার মতো।

ইমতিয়াজ খান বাবুল বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো-

‘আমার ছেলে রোহান গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ থেকে নিখোঁজ। সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কোলকাতায় ছিলাম। ত্রিশ তারিখ রাতে ওর দুই বোন একটি দাওয়াত থেকে ফিরে এসে দেখতে পায়, রোহান বাড়িতে নেই।’

‘আমার যত আত্মীয়স্বজন, ওর বন্ধুবান্ধবদের যে কয়েকজনকে চিনতাম তাদের কাছে খোঁজখবর নিলাম, ও কোথাও নেই। এর পর আমি থানায় একটা জিডি করলাম। তারপর আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করলাম, কথা বললাম। আইজিপি, র‌্যাব, যেখানে যত সোর্স আছে সবার সাথে কথা বললাম, খুঁজলাম, ছবি দিলাম। কিন্তু ওর কোনো খোঁজই আমরা পাইনি। ও কোথায় গেছে কোনো তথ্য নেই, কোনো যোগাযোগ নেই। অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক খুঁজেছি।’

‘তবে একটা কথা বলি। আমার ছেলের সন্ধা্ন করতে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম যে এরকম অনেক ছেলেই নিখোঁজ হয়ে আছে। অনেক ভালো ভালো ছেলে। এডুকেটেড ফ্যামিলির ছেলে, অফিসারের ছেলে, সরকারি কর্মকর্তার ছেলে নিখোঁজ। তারাও খুঁজে পাচ্ছে না। এরকম কয়েকজনকেই আমি চিনি। তাদের সাথে আমি আমার কষ্টের কথা শেয়ার করতাম।’

এদিকে, শনিবার সকালে উদ্ধার অভিযানের পর হামলাকারী হিসেবে যে পাঁচটি লাশের ছবি পুলিশ গণমাধ্যমকে দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের ছবিও ছিল। নিহত শফিকুল ইসলামের পরিবারও জানিয়েছেন একই রকম তথ্য।

ছয় মাস আগে সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন নিহত শফিকুল। দীর্ঘদিনের জন্য ‘তাবলিগের (৪০ দিনের) চিল্লায় যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বিদায় নেন। এরপর আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি তিনি।

এখানে রোহানকে খুঁজকে গিয়ে তার বাবার যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন এবং নিহত শফিকুলের পরিবার যে তথ্য দিলেন, সেটাই শংকিত হওয়ার মতো বিষয়।