বিদেশ থেকে আসছে নিম্নমানের পাঠ্যবই, অর্ধেক ভারত থেকে

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

ঢাকা: প্রি-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপার কাজের বড় অংশই এবার চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। দেশীয় মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে বঞ্চিত করে প্রায় অর্ধেক বইই ছাপা হবে ভারতে। টেন্ডারের সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানও পাচ্ছে বই ছাপার কাজ।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপবে বলে অভিযোগ করেছে দেশীয় মুদ্রণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, বিদেশ থেকে নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপিয়ে আনা হলে বিকাশমান দেশীয় মুদ্রণ শিল্প ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।

এদিকে প্রাইমারি টিচার্স গাইড ছাপার কাজ ইতোমধ্যেই চলে গেছে ভারত ও চীনের হাতে। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশ দু’টি ৬০ লাখ ১ হাজার গাইড ছাপিয়ে দেবে।

২০১৭ শিক্ষাবর্ষে কারিগরি ও প্রাইমারি টিচার্স গাইডসহ ৩৩ থেকে ৩৫ কোটি হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এর মধ্যে প্রি-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের ১১ কোটি ৫৭ লাখ বই ছাপা হবে। এজন্য ৯৮টি লটে ভাগ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সরকার। এ ৯৮টি লটের মধ্যে ৬৩টিতেই সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। বাকি মাত্র ৩৫টি লটে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৮টিতে ভারত, ৮টিতে চীন ও ৭টিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে। আবার ভারতের ৪৮টি লটের মধ্যে পিতামব্রা বুকস প্রা. লি. একাই ৪২টিতে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে। এছাড়া ভারতের আরও ৩টি প্রতিষ্ঠান ৬টি লটে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে।