কীটনাশকে ভোক্তার চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে চাষীরা

ঢাকা: কাঁচা শাক সবজিতে কীটনাশকের উপস্থিতি ভোক্তাদের সবারই জানা। তবে এবার গবেষণা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি বা তার অধিক তাপমাত্রায় রান্না করা সবজিতে কীটনাশকের উপস্থিতি নিয়ে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ (বিএআরসি)-র গবেষণা জানাচ্ছে, রান্না করা শাকসবজির ৮০ ভাগে মিলেনি কোনও কীটনাশক। আর যে ২০ ভাগে পাওয়া গেছে তাও সহনীয় মাত্রার নিচে।

সূত্র বলছে, বেশি ফলনের আশায় ফসলে নীল বিষের ব্যবহারের শুরুটা গেল শতাব্দির পঞ্চাশের দশকে। সিদ্ধান্তটা ছিলো সেই সময়ের সরকারের। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যার ব্যবহার আরও বাড়ে। এতে কমে পোকামাকড় আর রোগবালাই। সবজি উৎপাদনেও আসে অসামান্য সাফল্য। কিন্তু এ সাফল্যের আড়ালেই লুকিয়ে অন্য গল্প।

এ বিষের যথেচ্ছ ব্যবহার মানবদেহে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও কিডনিরোগসহ নানা রোগের উৎস। পরিবেশের ক্ষতিও নেহাত কম নয়। তাই শাকসবজির ভোগ বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের উদ্বেগ। আর এ বিষয়টি আমলে নিয়ে এবার রান্না করা শাকসবজি নিয়ে গবেষণা করেছে বিএআরসি।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, উস্তা, শিম, ঢেঁড়শ, বরবটি, বেগুন, লালশাক আর মরিচের মতো দশ ধরনের শাকসবজিতে চালানো হয় এ গবেষণা।

গবেষণা বলছে, মাঠ পর্যায়ের সবজির প্রায় ১৩ ভাগেই আছে ক্ষতিকর মাত্রার বালাইনাশক। পরিষ্কার পানিতে তা ধোয়ার পরও ৬ ভাগ ক্ষেত্রে থেকেই যায় বিষের অস্তিত্ব।
ভালো খবর হলো-১০০ ডিগ্রির বেশি তাপে রান্না শাকসবজিতে মেলেনি ক্ষতিকর মাত্রার বালাইনাশক।

তবে নিরাপদ খাদ্যের জন্য গবেষণার ফলাফলে স্বস্তি জানালেও গবেষক ভোলেননি খাবার গ্রহণে সচেতন থাকার পরামর্শ দিতে।
কৃষি গবেষণা পরিষদের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, কীটনাশক প্রয়োগের ৭২ ঘণ্টা পর শাকসবজি ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে এবং ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।