বাংলাদেশ সফর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো কিছু জাপানি প্রতিষ্ঠান

এ বিষয়ে জানতে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় জাইকার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করা কিংবা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।’

ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতামন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনি গুলশানের বিয়োগান্ত ঘটনার পর টোকিও এবং রোমের কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তৎপরতায় সমন্বয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি গতকাল জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ফোন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। জি-৭-ভুক্ত দেশের সদস্য হিসেবে দুই দেশের অভিন্ন অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন পাওলো জেন্তিলোনি ও ফুমিও কিশিদা। তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ শুরু হতে পারে বলে তাঁরা মত দেন।

এদিকে গুলশানের সন্ত্রাসী হামলায় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নৃশংস হত্যার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফ করতে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ব্রিফিংয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন দেশ কী ভাবছে, তা-ও জানার চেষ্টা থাকবে।