আমেরিকা থেকে অস্ত্র পাচ্ছে আইএস: কিসিঞ্জার

ডেস্ক: মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার স্বীকার করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তৎপর আইএস আমেরিকা থেকে অস্ত্র পাচ্ছে।

তিনি মার্কিন ফক্স নিউজকে গত বুধবার বলেছেন, আইএস-কে অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে আমরিকাই দায়ী। তবে তিনি দাবি করেন, আমেরিকা উদ্দেশ্যমূলক প্রক্রিয়ায় আইএস-কে এসব অস্ত্র দিচ্ছে না।

গত মার্চ মাসে ইরাকের বাদর সংস্থার প্রধান কাসিম আল-আরাজি জাতীয় সংসদে বলেছিলেন- তার কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, আমেরিকা ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র দিচ্ছে। এছাড়া, ইরানের গণমাধ্যম ও অন্য কয়েকটি সূত্র অন্তত দু বার বলেছে, মার্কিন সারমিক বিমান থেকে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অস্ত্র ফেলা হয়েছে। এছাড়া, ইরাকের গোয়েন্দা সংস্থা গত ডিসেম্বর মাসে বলেছিল, মার্কিন সামরিক বিমান থেকে আইএস’র জন্য কয়েকটি ত্রাণ-কার্গো ফেলা হয়েছে যাতে করে তারা ইরাকের সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর অবরোধ ভাঙতে সক্ষম হয়।

এ প্রসঙ্গে কিসিঞ্জার বলে, “এখানে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আমেরিকা শুধু এসব অস্ত্র তাদের কাছেই পাঠাচ্ছে যারা পেন্টাগনকে সহায়তা করছে। আর এর মাধ্যমে এ ইঙ্গিত পরিষ্কার যে, আইএস-কে অস্ত্র দেয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা একটা ভূমিকা পালন করছে।”

গত জানুয়ারি মাসে ইরাকের সংসদ সদস্য মাজিদ আল-ঘ্রাউয়ি বলেছিলেন, সালাহউদ্দিন প্রদেশের তিকরিতে মার্কিন বিমান থেকে আইএস-কে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এছাড়া, লন্ডনভিত্তিক ‘অর্গানাইজেশন কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ’ এর আগে বলেছিল, “আইএস সন্ত্রাসীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে যার মধ্যে এম-১৬ অ্যাসাল্ট রাইফেলও রয়েছে। এসব রাইফেলের গায়ে খোদাই করে লেখা রয়েছে “প্রোপার্টি অব দি ইউএস গভর্মেন্ট।”

গত বছরের জুন মাসে অ্যারোন ক্লেইন নামে এক সাংবাদিক ‘ওয়ার্ল্ড নেট ডেইলি’তে  রিপোর্ট করেছিলেন, ২০১২ সালে জর্দানের একটি গোপন ঘাঁটিতে মার্কিন প্রশিক্ষকদের কাছে আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আমেরিকার কেন্টাকি থেকে নির্বাচিত সিনেটর র্যান্ড পল গত বছর বলেছিলেন, “সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত কথিত মধ্যপন্থিদের কাছ থেকে আইএস সন্ত্রাসীদের কাছে যে অস্ত্র যাচ্ছে তা দিয়ে তারা ইরাকের বিরাট এলাকা দখল করে নিতে পারে।” তিনি বলেছিলেন, “আইএস’র সহযোগীদেরকে অস্ত্র দেয়ায় তারা সাহস পেয়েছে। আমরা সিরিয়ায় আইএসআইএল’র সহযোগীদেরকে সহায়তা করেছি।” গত সেপ্টেম্বর মাসে র্যান্ড পল আরো বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার হস্তক্ষেপের নীতিই দায়ী। তবে র্যান্ড পলের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন হেনরি কিসিঞ্জার।

–আইআরআইবি।