ইমরান সরকারের হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলেন সাংবাদিক মাকসুদা ঐক্য

নিউজ নাইন২৪ডটকম
অনলাইন প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তনয়া সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা চেষ্টার গোপন ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন বিতর্কিত সাংবাদিক শফিক রেহমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি দাবিদার গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানান। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তুমুল সমালোচনার ঝড়। তার অবস্থান দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ও তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমি আশ্চর্য্য হয়েছি ইমরান সরকারের বিষয়ে। সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে সে আমাদের বেশিরভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে। যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি আমার সকল বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা তাকে অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’

এমনি এক মুহুর্তে একসময় ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত গনজাগরন মঞ্চের সেসময়কার পরিচিত মুখ বিটিভির নারী সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য জানালেন ইমরান এইচ সরকার ও তার পরিকল্পনা নিয়ে একগাদা নতুন চমক দেয়া তথ্য।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ইমরান এইচ সরকারের ‘অজানা সব অপকর্মের ইতিহাস’ ফাঁস করার দাবি জানিয়ে কি প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।

ফেসবুকে সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য’র ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লেখা থেকে চৌম্বক অংশ এখানে নিউজ নাইন২৪ডটকম’র পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

আমি জানি আমার এই লিখা অনেকের পছন্দ হবে না । আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করে আমায় বিব্রত করার চেষ্টা করতেও দ্বিধান্বিত হবেন না , তবু আমাকে যে বলতেই হবে … আর যে চুপ থাকতে পারছিনা কি করবো বলুন ! না হলে যে বিবেক আমায় ছাড়বে কেন … ??

আমি নিজে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত এটা আশা করি কম বেশী সবাই জানেন , তাই বলে দল কানা ! সেটা ভাবলে কিঞ্চিত ভুল হবে । আমি সত্যির পথে আছি এবং আজীবন থাকতে চাই আর সে কারনেই যার যতো টুকু দোষ আমি তা বলতে ভঁয় করিনা । তাই আসুন আগে নিজেদের ভুল গুলো জানি ……।

ছাত্র লীগ এর আপাদমস্তক সবাই যে একেবারে ধোঁয়া তুলশী তা কিন্তু নয় । বরং অতি উৎসাহী কিছু মানুষ বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের বেশ ধরে দেশের অনেক জাগায় নানা ধরণের অপকর্ম ইতোমধ্যে করেছে এবং এখনো করে চলছে সেটা যে কতোখানি সত্যি তা বোধ করি পাগলেও বুঝে । ….

আমি আসি আমার নীড়ে … গণজাগরণে … হুম পুরনো কিছু কথা না তুল্লে যে আজ আর হচ্ছে না । সংগত কারণেই কিছু পুরনো কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্ল্যেখ আমাকে করতেই হবে তা নাহলে আমার তথ্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আর সেটা আমি নিজেই মানতে পারবো না তাহলে সবাই মানবে এই আশা আমি করবো কি করে ?

গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর কথা সবাই জানেন তাই অই দিকে আর যাচ্ছিনা । ইমরান এইচ এর উত্থান ও সবাই জানেন । কিন্তু শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ড যে সেই আন্দোলনের কতোখানি ভুমিকা রেখেছিল সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না ,অথবা কিছু মানুষ জানলেও শুধু ক্যামেরার সামনে বড় বড় কথা বলতে দেখেন নি বলে ভুলেই গেছেন । ওখানে এইচ রা যেমন ফেম চেয়েছেন জনগণ ও তাঁদের নিরাশ করেন নি প্রান উজার করা ভালোবাসা আর আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন তেমন ভাবেই । কিন্তু কথায় বলে না “ডোবার ব্যাঙ পুকুরে গেলে খেই হারিয়ে ফেলে ” সেখানে ও ঠিক তাই হয়েছিল তাও সবাই দেখেছেন । গ্রুপ থেকে প্রকৃত সহ যোদ্ধাদের ছাঁটাই করেছেন নিজের অস্তিত্ব কে মজবুত করার স্বার্থে ।

শুরুর কিছু দিন পর থেকেই ধান্দাবাজিটা চলছিল ভেতরে ভেতরে কিন্তু এতই চতুরতার সাথে সে কাজ গুলো করছিলেন যে বাহিরে থেকে বুঝতে পারবে সে সাধ্য কারো নেই । কিন্তু এই ছাত্র লীগের কিছু ভালো পোলাপান সেটা ধরে ফেলেছিল ।

..এদিকে মাসের পর মাস গড়াতে থাকে আর ইমরান এইচ বড় নেতা বনে যায় … সেই সাথে তার ব্যাবসা ও রমরমা হয়ে ওঠে এদিকে অর্থ বৃদ্ধির সাথে সাথে তার গ্রুপের সদস্য ও পরিবর্তন হতে থাকে । এদিকে মেহেদী বা আমাদের মধ্যে কেউ ওদের সাথে কোন রকম বিবাদে না জড়িয়ে চুপ হয়ে যাই আর আমাদের গণসাক্ষর কর্মসূচি চালাতে থাকি । ….

..ততদিনে চেতনা ব্যাবসায়ী বিভিন্ন মহল এসে যুক্ত হয় ইমরান এর সাথে ঝাপিয়ে পরে আন্দোলনের নামে চান্দাবাজির ধান্দায় , বাংলাদেশের বড় বড় শিল্প পতিদের কাছে নামে বেনামে টাকা চেয়ে টেলিফোন যেতে থাকে । যে টাকা দিতে অসম্মতি জানায় তাঁকে রাজাকার উপাধি দিয়ে মঞ্চ থেকে শ্লোগান দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিতে থাকে । আর সে সময় আসলেই গন জোয়ার দেখে অনেকেই সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে যায় , পাছে তার নামের আগে রাজাকার নামক শব্দটা না জুড়ে যায় সেই ভয়ে তাঁরা টাকা বিলাতে থাকে । তবে হ্যাঁ অই টাকার সব ই যে ইমরান এর কাছে গেছে তা কিন্তু নয় , বরং পাশে পাশে যে সব সুবধাভোগী গ্রুপ ঘুরত তাঁদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যেতো । আর এইচ তখন নেতা হলেও এতো বিচক্ষনতা কই যে সব দিক একা সামাল দিতে পারবে ? তাই হরি লুটের মালের মতো যে যেভাবে পেরেছে কামিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু প্রকৃত যারা সত্যিকারের আন্দোলনকে ভালোবেসে ওখানে দিন রাত পরে থাকতো তাঁরাও বাইরের এসব ধান্দা সম্পর্কে একেবারেই ধোঁয়ার মধ্যে ছিল। কারন ওরা তো সত্যিকারের দেশপ্রেমী তাই ধান্দার দিকে খেয়াল ও ছিল না ।

…তখনি আমি রুদ্র সাইফুল নামের এক আন্দোলন এর সৈনিক এর কাছে গল্প শুনেছিলাম ওদের মধ্যে কে যেন একজন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি থাকার মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে ধান্দা করেছে ( তবে হ্যাঁ রুদ্র সাইফুলের কথার সত্যতা আমি নিশ্চিত কোরতে পারবো না কারন ওটা আমি নিজে কনফার্ম নয় ) ।

এদিকে সাধারণ কর্মীরা কিন্তু সত্যি খেয়ে না খেয়ে এমনকি ৩/৪ দিন এক নাগারে না ঘুমিয়েও রাস্তায় পরে ছিল গোসল আর বাথ রুম সার তো কখনো বারডেম হাঁসপাতালে , কখনো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল এ আবার কেউ কেউ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন হলে , চারুকলায় , আবার কখনো শাহাবাগ থানায় ও । আর তথাকথিত নেতা আর কিছু চামণ্ডা তখন থাকতেন রূপসী বাংলা হোটেলের বিলাশ বহুল রাজকীয় কামরায় । কিন্তু মাঝে মধ্যেই ওখানে পেট পূর্তি খেয়ে এসেও তাঁরা আন্দলনের পোলাপানদের সাথেও অভুক্তের অভিনয় তা ভালোই করতেন সবার সাথে বসে নিজে খাবার ভাগ করে খাইয়েছেন । আর চেহারায় রাতজাগা ভাব বুঝানোর জন্য ও নাকি কি সব পদ্ধতি আছে সে সব করতেন এটা অবশ্য ডাক্তার ভালো জানেন ।

আর তখন আমাদের আন্দোলনের সমর্থন জানাতে জাতীয় সংসদের শুধু মন্ত্রী , এম পি নয় বরং সেক্রেটারি , এডিশনাল সেক্রেটারি , জয়েন সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি সহ মাননীয় স্পীকার , ডেপুটি স্পীকার এর প্রতিনিধিগণ প্রায় প্রতিদিন ই জেতেন আমাদের মানসিক সহানুভুতি যোগাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর ডিজি সাহেব নাকি ঘুমাতেই পারতেন না আমাদের আন্দোলন এর সবাই কে এক নজর না দেখতে পারলে । আর তখন সে সময়ের সংসদের ডেপুটি স্পীকার মহোদয়ের নিজের একটা সংগঠনের নিজস্ব প্যান্ডেল ও সেখানে চলছিল যেখান থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি ওর স্যালাইন বিস্কিট সহ বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করা হতো যার যোগান দিতেন ডেপুটি স্পীকার মহোদয় ।

আন্দোলন যখন মানুষের হৃদয়ের অংশ হয়ে উঠেছে ওদিকে ধান্দাবাজরা তখন নিজের আখের গুছানর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে সরকারের মদদ আর সহানুভূতির আড়ালে । বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলো কিন্তু সে খবর আপনাদের দিতে পারেনি কারন তখন তাঁরাও ছিল স্রোতের সাথে মিশে এইচ এর প্রচারনায় ব্যাস্ত । ……… আজ এটুকুই কাল আবার লিখবো … এম্নিতে পুরানো প্যাঁচাল আর ভালো লাগবে না কিন্তু ভেতরের সত্যি গুলো না জানলে সবাই সরকার / আওয়ামীলীগ বা ছাত্র লীগ কে শুধু ভুল বুঝে যাবেন , তাই বাধ্য হয়ে কিছুটা জানাতেই আমি মুখ খুলেছি …।। সাথে থাকুন আরও আছে …… কেউ কেউ হয়তো বলবেন এই গুলা তো জানি নতুন কিছু বলুন তাঁদের বলছি নতুন ও আছে একটু অপেক্ষা করুন …

গনজাগরণ মঞ্চ ( মুখপাত্র ) বনাম ছাত্র লীগ / আওয়ামী লীগ / সরকার /মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রজন্ম – ০২ পর্ব
====================================================ঐ দিকে যেমন ইমরান এইচ বাহিনী টাকার বালিশে মাথা দিয়ে দিন কাটাচ্ছে আর এই দিকে আমাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দের অবস্থা একটু বলি …

হ্যাঁ আমাদের মধ্যে ও যে কেউ টাকার ধান্দার চেষ্টা করেনি তা বললে মিথ্যা বলা হবে , আমাদের মাঝে ও মাহবুব নামের একজন ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাতে দেখেছি । সে একবার ইমরানের তাবু টে যায় আবার আমাদের কাছে ফিরে আসে , কোন এক কালে আমাদের প্রধান মন্ত্রীর সাথে তার দাঁড়ান একটা ছবি লেমিনেটিং করে সব সময় ব্যাগে নিয়ে ঘুরত । আর সুযোগ পেলেই সে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে সে ছবিটা সবাইকে দেখাত । তখন সে ওটা বেঁচে একটা ফায়দা নেওয়ার তালে ব্যাস্ত থাকতো … কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ডের মেহেদী এবং আমি সব ই বুঝতাম কিন্তু আন্দোলনের স্বার্থে চুপ করে থেকেছি কারন সে ওসব যা ই করুক আমাদের দলের হয়ে অনেক পরিশ্রম করতো পরে বুঝতে পেরেছি ওটা আসলেই একটা ধান্দাবাজ ছিল । কারন যখনি কোন টিভি ক্যামেরা আমাদের অই পথ দিয়ে আস্ত ওমনি মাহবুব দৌড়ে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে হাজির হতো , অথচ আমি আর মেহেদী সব সময় ই ক্যামেরা এভয়েড করতাম । এমন কি আমি যখন দলীয় কেউ আসলে তাঁদের ছবি তুলতাম ঠিক তখনো কোথা থেকে মাহবুব এসে সেই নেতাদের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে যেতো …। এসব দেখে আমি আর মেহেদী তাঁকে আমাদের কাছ থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিতে থাকলাম । তখন দেখতাম সে আবার ঐ গ্রুপের সাথে ঘেঁষতে চলে যেতো ।

আর আমাদের খাবার আর গণসাক্ষরের কাপড় , সিগনেচার পেন ছাড়া আনুসাংগিক খরচ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কম্যান্ড , আওমিলীগ এর আরও ২/৩ জন সরবরাহ করতেন , তবে সেটা অবশ্যই টাকার বাণ্ডিলে না । আমরা আমাদের চাহিদা পত্র পাঠাতাম আর সেই অনুযায়ী তাঁরাই কিনে পাঠাতেন । কিন্তু সব সময় ই আমাদের নগত টাকার প্রয়োজন হতো তারপর ও আমরা কারো কাছ থেকে নগত টাকা ইচ্ছে করেই নেই নি …

…তার ও আগের কথা তখন শাহাবাগ আর আন্দোলনের যায়গায় ছিল না ওটা ছিল একটা ফুর্তি করার পার্ক সন্ধ্যা হলেই দলে দলে মানুষ এসে নাচ গান সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করলো , আর ইমরান তার ধান্দাবাজি ধরে রাখতে আজ সরকারের পক্ষে কাল সরকারের বিপক্ষে একে দিন একেক বাহানা তুলে মাঠ গরম রাখার চেষ্টায় ব্যাস্ত … এক একবার মনে হতো ও ই দেশের প্রধানমন্ত্রী । যতো বড় মুখ নয় ততো বড় কথা বলেই চলছিল । কখনো সরকার কে চ্যালেঞ্জ করার সাহস ও দেখিয়ে ফেলত । আর সারা দেশের মানুষের কাছে টিভি ওর বন্দনা দেখে ও যা বলে তাই করা শুরু করলো । আর ইমরান এইচ সরকার “প্রিয় দেশবাসী ” বলে ভাষণ দিতে লাগলো । আজ এই কর্মসূচি ঘোষণা কাল অই কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে মিডিয়া চাংগা করে রাখত ।
আর মনে করে দেখুন সারা দেশে এমন কি পাড়ায় মহল্লায় দিনে দিনে নিত্য নতুন ব্লগার গ্রুপ তৈরি হল , যারা জীবনে এক লাইন লিখেনি তাঁরাও বিশাল বিশাল রিপোর্ট লিখতে শুরু করলো । ওটা তখন একটা ক্রেজ এ পরিনত হয়ে গেলো । অনেকেই ফেসবুকের আই ডি তে নিজের ব্যাক্তিগত পরিচয়ের যায়গায় নিজেই ব্লগার শব্দটা যুক্ত করে দিতে শুরু করেছিল । আর ইমরানের বানী তাঁরা দৈব বানীর মতো শুনতে থাকলো ।

….কারন ২৬ মার্চ ২০১৩ এর আগে থেকেই ইমরানের আসল রূপ সরকার বুঝতে পেরেছিলেন তাই তখন মানে আন্দোলনের ১ মাস পরেই সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ওকে সংযত হয়ে কথা বলার বা ভাষণ দিতে নির্দেশ দিতেন । এমন কি যখন ৩১/০৩/২০১৩ তারিখে ইমরান এইচ সরকার জাতীয় সংসদ ভবনে গণ স্বাক্ষরের স্মারকলিপি জমা দিতে গণজাগরণে আশা মানুষের মিছিল নিয়ে শাহাবাগ থেকে পায় হেটে রওনা হয়েছিল তখন প্রতিটি স্পটে স্পটে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ঝগড়া হয়েছে সেটা হয়তো কিছুটা হলেও মিডিয়ার সুবাদে আপনারা জানেন । তারপর অনেক ঝামেলা পার করে যখন সংসদ ভবনের গেটে আসলো তখন ভেতরে ঢোকার পারমিশন দিচ্ছিল না । তখন আমি নিজে মাননীয় স্পীকার মহোদয় কে অনুরধ করে এবং আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে মত ৮ জনকে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তরের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলাম । যার প্রমাণ আমার কাছেই এখনো আছে । জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে ব্যাক্তিগত ক্যামেরা চালনার পারমিশন না থাকলেও আমি সেখানে আমার ক্যামেরায় সব বন্ধি করে নিয়েছিলাম , কারন আমি ভেবেছিলাম জীবনে কোন না কোন দিন এই প্রমাণ গুলো আমাদের সংগঠনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে । ওখানে কিন্তু কোন টিভি চ্যানেল বা প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরা ও ছিল না তাই ভেতরের খবর ভেতরেই থেকে গেছিলো ।

এবার বলুন সরকার / আওয়ামীলীগ যদি সত্যিকারের ইমরান এইচ কে তার ওসব অপকর্ম জানার পরেও প্রশ্রয় দিতেন তাহলে আন্দলনের মাত্র ২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই কেন এই আচরণ করেছিল ? কেন তাঁকে জাতীয় সংসদে ঢুকতে বাঁধা দিয়েছিলো ? সত্যি তা হল সরকার ইমরান এইচ কে নয় বরং সত্যিকারের দেশ প্রেমী মানুষের আন্দোলন কে সন্মান দেখিয়ে শান্ত ছিলেন । আর আমাদের দেশের মিডিয়া গুলো ও তখন সরকারের বিপক্ষে যার যতো অসন্তোষ ছিল তখন ঐ গণ জোয়ারে এক ঢিলে সব পাখি মারার প্রবনতাও বোধ করি সবাই দেখেছেন ।
তাই কি আর করা সরকার তার বিচক্ষণতা দেখিয়েছিলেন মাত্র । নিজ দেশে বাস করা শত্রুদের সাথে আমাদের আন্দলনরত মানুষের গৃহ যুদ্ধ যাতে না বাঁধে সে জন্যই চুপ ছিলেন । কারন আওয়ামীলীগ সরকার খুব ভালো করেই জানতেন ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার প্রকাশ্যে যদি গণ জাগরণের তথা ইমরান এর বিপক্ষে কোন বক্তব্য দেন ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষধর সাপের হিংস্র ছোবলের কবলে পরে প্রান হারাবে সারা দেশের নিরপরাধ প্রকৃত দেশপ্রেমী অগণিত মানুষ । তাই সরকার তখন জনগণের স্বার্থেই নীরবতাকে শান্তি রক্ষার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিল । কিন্তু ভিতরে ভিতরে যা চলছিল সেটা সরকার ই ভালো জানেন তবে আমরা যারা খুব কাছে থেকে দেখেছি তাঁরা কিছুটা হলেই আচ করেছি ……

আজ আর নয় সরি অনেক বড় হয়ে গেলো বলে ////…… চলবে … এর পর আসবো ইমরান এইচ এইচ এর রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের ব্যাবসা এবং ১৬ ডিসেম্বরের জাতীয় সংগীতের অজানা কথায় …। ভালো থাকুন সবাই সব সময় …

ইমরান এইচ সরকারের তথ্য ফাঁস করে দিয়ে মাকসুদা সুলতানা ঐক্য’র ফেসবুক স্ট্যাটাস
ছবি: ইমরান এইচ সরকারের তথ্য ফাঁস করে দিয়ে মাকসুদা সুলতানা ঐক্য’র ফেসবুক স্ট্যাটাস

 

এসম্পর্কিত আরো খবর-

সম্ভবত ইমরানের আসল চেহারা উন্মোচিত হলো: জয়

শফিক রেহমানের গ্রেপ্তারকে ‘নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল’ বললেন ইমরান এইচ সরকার