ঢাবি স্মরণিকায় জিয়া ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’: রেজিস্ট্রারকে অব্যহতি

ঢাবি প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকায় ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে জিয়াউর রহমান হলের ক্ষেত্রে জেনারেল জিয়াকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

ওই ক্রোড়পত্রের প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ রেজাউর রহমান।

স্মরণিকায় বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’লেখায় বিক্ষোভ-ভাঙচুরের পর ওই প্রকাশনার দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানের কক্ষে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে এক নোটিশে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ রমজান) উপাচার্যের কার্যালয়ে নিযুক্ত উপ-রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ম ম স আরেফিন সিদ্দিক অব্যাহতির এই আদেশ দিয়েছেন।

“বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ রেজাউর রহমানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে,” বলা হয়েছে আদেশে।

ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার

জিয়াউর রহমান হলের পরিচিতিতে লেখা হয়েছে, “মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থান নিহত হন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “তথ্য বিকৃতি ঘটেছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

বঙ্গবন্ধু হল ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে স্মরণিকার অষ্টাদশ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে লেখা হয়েছে, তিনি “বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।”

শুক্রবার টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভায় স্মরণিকায় তথ্য বিকৃতির প্রতিবাদ উঠলে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্মরণিকা বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দেন।

পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা বেলা ১২টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে তার কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে রাখে। তাকে অবরুদ্ধে করার পর তার কক্ষের সামনে উক্ত স্বরণিকায় আগুন দেন ছাত্ররা। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং রেজাউর রহমানকে বের করে আনেন।

ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বরণিকায় আগুন

এরপর ছাত্রলীগ কর্মীরা উপাচার্যের বাংলোর সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সেখানে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি হামলার শিকার হয়।

ঢাবি ভিসি আরেফিনের গাড়িতে হামলা