গেন্ডারিয়ায় মসজিদ নির্মাণের পক্ষে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়

ঢাকা: গেন্ডারিয়া থানাধীন কালী চরণ সাহা রোডের স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন বিবাদমান মসজিদের জায়গাটি মন্দিরের জায়গা ছিলো না এবং এখানে মসজিদ নির্মাণ হলে তাদের কোন আপত্তি নেই।

বুধবার (২৯ জুন) কালীচরণ সাহা রোডে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন নিউজ নাইন২৪ডটকম এর প্রতিনিধির কাছে।

এ ব্যাপারে মিলব্যারাক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রিপন দাস (৫৫) বলেন, এ এলাকায় আমার জন্ম। আমি কখনো এ জায়গায় মন্দির দেখিনি। তিনি বলেন,  এটা মন্দিরের জায়গা হলে তো সরকার লিজ দিতো না।

গেন্ডারিয়া মিলব্যারাক
কালী চরণ সাহা রোডের বাসিন্দা রিপন দাস

এ জায়গায় মসজিদ হলে হিন্দুদের কোন সমস্যা হবে কি জানতে চাইলে রিপন দাস বলেন, এ এলাকায় আমরা হিন্দু-মুসলমান সবসময় মিলে মিশে বাস করছি। এখানে মসজিদ হলে আমাদের সমস্যা হবে কেন? কোন সমস্যা নেই। হোক মসজিদ।

গেন্ডারিয়া মিলব্যারাক হরিমা সাহা
কালী চরণ সাহা রোডের বাসিন্দা হরিমা সাহা

এ এলাকায় মসজিদ হওয়ার পক্ষে আরেক বাসীন্দা হরিমা সাহাও সৎসাহে বলেন, ‘আমিও চাই এহানে মসজিদ ওক। মসজিদ অইলে অসুবিধার কি আছে? মন্দিরের জায়গা ছিলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হরিমা সাহা বলেন, এহানে কোন মন্দির ছিলোওনা, এটা মন্দিরের জায়গাও না। মিছা কতা কয়া লাব আছে?’

ইসলাম (পূর্বের নাম গৌতম)
নওমুসলিম ইসলাম (পূর্বের নাম গৌতম)

ইসলাম নামে স্থানীয় একজন নওমুসলিম (পূর্বের নাম গৌতম) বলেন, আমার জন্মস্থান এটা। আমি কখনো এ এজায়গায় মন্দির দেখিনি। মন্দির ছিলো এ জায়গাটির পাশে।

কালীচরণ সাহা রোডের হিন্দু সম্প্রদায় নির্মাণাধীন মসজিদের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং মসজিদ হলে তাদের কোন সমস্যা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি নির্ধারিত জায়গাটি মন্দিরের ছিলোনা বলেও সকলে একই কথা ব্যাক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গেন্ডারিয়া থানাধীন মিলব্যারেক এলাকার কালীচরণ সাহা রোডে একটি মসজিদ নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ। মসজিদের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি ১৯৯২ সালে মিলব্যারাক জনকল্যান ফাউন্ডেশন-এর নামে লিজ নেয়া হয়েছিলো বলে জানান ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ । কিন্তু অত্র এলাকায় কোন মসজিদ না থাকায় খোদ ফাউন্ডেশন কর্তৃক্ষই এলাকাবাসীর অনুরোধক্রমে সিদ্ধান্ত নেন ফাউন্ডেশনের কার্যালয় পার্শ্ববর্তী জায়গায় স্থানান্তর করে এই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করবেন।

মসজিদ নির্মাণের কাজ কিছুটা অগ্রগতি হওয়ার পর বাধা দেয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু অস্থানীয় লোক। তারা এসে দাবি করে এটি ‘হিন্দুদের মন্দিরের জায়গা’ বিধায় এখানে মসজিদ করা যাবে না। এ নিয়ে পরিতোষ কুমার নামে একজন থানায় একটি সাধারণ ডায়রীও করে। তবে এই পরিতোষ কুমারকে এলাকার কিংবা স্থানীয় হিন্দু সম্প্রাদয়ের কেউ চেনেন না। #