কাশ্মিরে গ্রেফতার লস্কর-ই তাইয়্যেবার হিন্দু সদস্য সন্দীপ শর্মা

ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মির পুলিশ সন্দীপ কুমার শর্মা নামে এক লস্কর ই তাইয়্যেবা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। সন্দীপ কুমার শর্মা নামে ওই ব্যক্তি বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলার বাসিন্দা। গত সামবার দক্ষিণ কাশ্মিরের একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, সন্দীপ কুমার শর্মা নামে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি এটিএম লুট এবং সন্ত্রাসমূলক কাজে লস্কর গেরিলাদের সাহায্য করতো। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সন্দীপ ওরফে আদিল দুটি পরিচয় নিয়ে জম্মু-কাশ্মিরে থাকত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে ‘সন্দীপ নামে যুবককে লস্কর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে জম্মু-কাশ্মির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। প্রথমে ছোটখাট অপরাধ করলেও পরে লস্করে যোগ দেয় সে। ২০১২ সাল থেকে সে কাশ্মিরে থাকত। এমনকী যে বাড়িতে লস্কর ই তাইয়্যেবার অন্যতম কমান্ডার বসির লস্কর আশ্রয় নিয়েছিল সেখানেই থাকত সন্দীপ।

পুলিশের দাবি, গতমাসে অনন্তনাগে পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ দার এবং ৫ পুলিশকর্মী হত্যার সঙ্গে অন্যদের সঙ্গে সন্দীপও যুক্ত ছিল। গত ১ জুলাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে বসিরসহ দুই লস্কর গেরিলা নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে যে বাড়িতে বসির ও তার অন্য সঙ্গীদের জওয়ানরা ঘিরে ফেলে সেখানেই ছিল সন্দীপ। এরপরই সন্দীপের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চলাকালীনই ধরা পড়ে লস্কর সদস্য সন্দীপ শর্মা।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সন্দীপ ওরফে আদিল কমপক্ষে ৩টি অপারেশনে লস্কর সন্ত্রাসীদের মদত দিয়েছে। সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও, ব্যাঙ্ক ডাকাতি এবং পুলিশের কাছ থেকে রাইফেল ছিনতাই করে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সন্দীপের সঙ্গে লস্কর-ই তাইয়্যেবার কোনো সম্পর্ক নেই বলে গেরিলা সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এটিকে (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) অজিত দোভাল ও তার প্রচার টিমের ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে তাদের আজাদি আন্দোলনকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা বলেও দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, সন্দীপ শর্মার ভাই প্রবীণ শর্মা পুলিশকে বলেছে, ওই ঘটনায় লজ্জায় তাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। যদি ভাই সন্ত্রাসী হয় তাহলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করুক। প্রবীণ শর্মা হরিদ্বারে ট্যাক্সি চালকের কাজ করে। সে বলেছে, প্রথমে তার বিশ্বাসই হয়নি, পরে টিভিতে দেখার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়। খুব খারাপ করেছে সন্দীপ। দেশের আইন অনুসারে যে সাজাই হোক না কেন তাদের কোনো আপত্তি নেই।