এবার সংসদে ৬০টি আসনের দাবি তুলেছে হিন্দু মহাজোট

ঢাকা: দেশব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর গণমাধ্যমে প্রচারিত নির্যাতনের কথা তুলে ধরে পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে নিজেদের ৬০টি আসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধি বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি নির্যাতন রোধে ৩ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছে সংগঠনের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ বলেছে, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন দিন দিন বাড়ছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে।’

লিখিত বক্তব্যে দাবি জানানো হয়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে সমহারে মন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে।

তিন দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- ১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে সংঘটিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা ও এদের ওপর নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।

এছাড়া জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতন রোধেরও দাবি জানানো হয়।

দাবি না মানলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছে, ‘১ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে, ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। পরে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

এসময় আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাযতন নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শুনানি ও প্রস্তাব পাস হয়। তবে লজ্জার বিষয় হচ্ছে, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সরকারকে ভোট দিয়েছে, তাদের ওপর নির্যাতন বা হত্যা বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলো হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, ড. অচিন্ত কুমার মণ্ডল, ড. সোনালী দাস, ডা. এম কে রায় প্রমুখ।

এর আগে ২০১৪ সালে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক এবং জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও ব্রিটিশ আমলের মতো হিন্দুদের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলো ভারতের কট্টর উগ্রপন্থী দল আরএসএস’র সাথে সম্পৃক্ত এই দলটি।