সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলি
সাতক্ষীরা:  জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ মোল্লা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় সাটারগান ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গাংহাটি গ্রামের চোরাখাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় যাবার পথে দেবহাটার পারুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছিলেন খুলনার দৈনিক অনির্বানের শ্যামনগর উপজেলার সাবেক প্রতিনিধি। বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। রাতে একদল দুর্বৃত্তের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অলি উল্লাহ ওই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে। তিনি কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেও জানা যায়।
তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, প্রতারণা, নাশকতা ও চাঁদাবাজিসহ কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গাংহাটি গ্রামের চোরাখালের কালভার্টের ওপর কয়েকটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয় পুলিশ। কাছাকাছি এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে মোটরসাইকেল আরোহীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি বর্ষণ করে। বোমার আঘাতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এতে একজন অলিউল্লাহ আহত হন। আহত অলিউল্লাহ ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত অলিউল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল, একটি দেশীয় সাটারগান ও বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।