পবিত্র সুন্নত অনুসরণেই মুসলমানদের সফলতা নিহিত

পবিত্র কোরআনে পাকে ইরশাদ হয়েছে,  “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতায়াত করবে সে বিরাট সফলতা লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
মূলত, একজন বান্দা-বান্দীর কামিয়াবী নির্ভর করবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবার উপর। উনাকে যে যত বেশি অনুসরণ করবে সে ততবেশি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, একজন বান্দা-বান্দীর যত আমল রয়েছে সমস্ত আমল যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর উনার একটি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার আমল যদি আরেক পাল্লায় রাখা হয় তারমধ্যে সমস্ত আমলের পাল্লার চেয়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার আমলের পাল্লা অনেক ভারি হবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সমস্ত মুসলমান নর-নারীর উচিত পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার বেশি বেশি আমল করা।
মূলত, পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার আমলের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করা সম্ভব। কেননা মুহব্বতের অপর নাম অনুসরণ, এখন কোনো ব্যক্তি যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে পারে, তাহলে তার জন্য নাজাত অবধারিত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র সুন্নত উনাকে মুহব্বত করলো সে আমাকে মুহব্বত করলো। আর আমাকে যে মুহব্বত করলো সে আমার সাথে পবিত্র জান্নাতে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! কাজেই বলার অপেক্ষাই রাখে না পবিত্র সুন্নত উনার কতটুকু মর্যাদা-মর্তবা।
অতএব, পবিত্র সুন্নত মুবারক সম্পর্কে কোনো প্রকার চু-চেরা বা ক্বিলও ক্বাল না করে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করতে হবে এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার বেশি বেশি আমল করতে হবে। কাজেই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে বেশি বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।