ফ্লোরিডায় নাইটক্লাবে খ্রিষ্টান জঙ্গিদের বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ১৭

ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লাব ব্লু নামের একটি নৈশক্লাবে উগ্রবাদী খ্রিষ্টান জঙ্গিদের গুলিতে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত দুইজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্ট মায়ার্সের ক্লাবের পার্কিং লটে রাত সাড়ে ১২টার (ইস্টার্ন টাইম) এই ঘটনা ঘটে।
ফোর্ট মায়ার্সের পুলিশ বিভাগ দুইজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে। এছাড়া কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্টিটি বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। হতাহতের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে। সে গুলির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আরো দুই এলাকায় তদন্ত করছে। নৈশক্লাব ছাড়াও একটি বাড়ি ও গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে সেখানে সামান্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় হামলার এলাকায় পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে। আরো সন্দেহভাজনদের ধরতে কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাচ্ছে।
ভিডিও:
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত Gun Violence Archive নামক জরিপ সংস্থার তথ্যানুযায়ী চলতি বছরে (১০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত) বন্দুক হামলা বা গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ২৭৫৭৫টি, বড়ধরণের বন্দুক হামলা ঘটেছে ১৭৯টি, এসব ঘটনায় মারা গেছে ৭১৮৭ জন।
গত ১২ জুন (২০১৬) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডোয় সমকামীদের একটি নাইট ক্লাবে হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। এটি মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাস শুটিং (বন্দুকের মাধ্যমে গণহত্যা) বলা হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান জিদ্রোতে ১৯৮৪ সালে ২১ জন, টেক্সাসের কিল্লেনে ১৯৯১ সালে ৩২ জন, ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া টেকে ২৩ জন, ২০১২ সালে নিউটাউনের কনে ২৭ জন নিহত হয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুক সহিংসতায় মারা যায় ৩৩ হাজার মানুষ।
গত বছর (২০১৫) যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগণ অঙ্গরাজ্যে উম্পকুয়া কমিউনিটি কলেজে বন্দুকধারীর গুলিতে ৯ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থতা প্রকাশ করে বলেছেন, “কিছুদিন পর পরই গুলিতে গণহত্যার ঘটনা ‘নৈমিত্তিক’ হয়ে গেছে। কিন্তু তা রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারিনি আমরা।”