গণভোটে হেরে পদত্যাগের ঘোষণা ক্যামেরনের

ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্রিটেনের থাকা-না থাকা নিয়ে গণভোটে হেরে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটে রায় হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ক্যামেরন গণভোটের প্রচারণায় ইইউতে ব্রিটেনের থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালান।
গণভোটের ফলাফল বিপক্ষে যওয়ার পর ডাউনিং স্ট্রিটে দেয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ক্যামেরন বলেন, “আগামী অক্টোবরে আমি দায়িত্ব ছাড়বো এবং এই সময়ের মধ্যে ব্রিটেন একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন। আর ব্রিটেনের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাব।”

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, “গণভোটের বিষয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমার বিশ্বাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে গিয়েও ব্রিটেন আরও বেশি শক্তিশালী, নিরাপদ এবং ভালো থাকবে। নতুন পথ অবলম্বনে ব্রিটিশ নাগরিকরা তাদের স্পষ্ট মতামত দিয়েছে। আমি মনে করি, দিকনির্দেশনা দিতে দেশে এখন নতুন নেতৃত্ব দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য আগামীতে যা যা করা দরকার সামনের দিনগুলোতে আমি তাই করব। কিন্তু আমি মনে করি না, দেশকে নতুন গন্তব্যে নিয়ে যেতে আমার প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকার দরকার আছে। আমি এই সিদ্ধান্তটিকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। দেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য এখন নতুন নেতৃত্ব দরকার।”

গণভোটে ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ক্যামেরন প্রচার চালালেও ৫২ ভাগ ভোটার ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। এর পর থেকেই বিরোধীরা ক্যামেরনের পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন। তবে পদত্যাগের দাবি জোরালো হওয়ার আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।

গণভোটের আগে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ (টরি) দলের ৮০ জন এমপি এক চিঠিতে ক্যামেরনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করার আহবান জানিয়েছিল।