এরদোগানের সমর্থন গোটা বিশ্বে

ডেস্ক: ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের চলন্ত ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিরোধ করে নিরস্ত্র জনতা।

গণতন্ত্র রক্ষায় তুরস্কের জনতার সাহসী ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা বিশ্ব। তুরস্কের জাতীয় পতাকা হাতে দেশে দেশে গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের প্রতি জানানো হচ্ছে জোরালো সমর্থন।

শুক্রবার রাতের কথা। তুরস্কের সেনাবাহিনীর ক্ষুদ্র একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টাকালে দেশের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয়।

ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখলে নেয় তারা। বিপদগামী সেনা সদস্যদের হঠাৎ এমন ঘোষণায় হতভম্ব গোটা তুরস্কবাসী। তারা তখন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাদের কী করা উচিত।

কিন্তু খুব বেশীক্ষণ তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি। হঠাৎই টিভি চ্যানেল সিএনএন তুর্কে প্রেসিডেন্ট এরদোগান মোবাইল ফোনে ভিডিও বার্তায় জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।

তখন তিনি রাজধানী থেকে অনেক দূরে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন স্থান মারমারিসের একটি রিসোর্টে।

তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যে যেভাবে আছেন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। যড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হবে। দেশের জনগণ যাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিল, তিনিই দায়িত্বে আছেন। আমরা যতক্ষণ সবকিছু বিসর্জন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়াব, ততক্ষণ তারা সফল হতে পারবে না।’

এরদোগানের এই আহবান শোনার পরপরই লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে যেতে শুরু করে তুরস্কের পরিস্থিতি। এরই মধ্যে মারমারিস থেকে ইস্তাম্বুল এসে জনতার কাতারে যোগ দেন এরদোগান।

জনতার প্রতিরোধ আর প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাহসী পদক্ষেপে সৃষ্টি হয় তুরস্কের নতুন ইতিহাস।

তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনসাধারণ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও তুরস্কের গনতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনের প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করছে।