ডা. ইউনুসের সাথে হিলারীর কেনো এতো দহরম-মহরম সম্পর্ক?

পলিন শেঠী: আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে হিলারী ক্লিনটনের মধ্যে তুমুল প্রতিদন্দীতা চলছে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা যেনো ততো বেড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সেখানকার একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সেখানকার নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যেই নেমেছেন একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাদের কন্ঠে – হিলারিকে ঠেকাও। এমনকি মোটা অঙ্কের ডলার খরচ করে গণমাধ্যমে হিলারিকে বর্জনের বিজ্ঞাপন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ। এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে

অপরদিকে হিলারী ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারনায় বড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছে পুরানো মার্কিন দালাল ডা. ইউনুস। বলার বিষয় হচ্ছে, হিলারী ক্লিনটনের সাথে হাসিনা সরকারের কেনো এতো বিরোধ? আর ডা. ইউনুসের সাথেই বা হিলারী ক্লিনটনের কেনো এতো দহরম-মহরম সম্পর্ক?

যে ইউনুস সমাজ সেবার নাম করে নোবেল পুরুষ্কার পায় সে ইউনুস বন্যায় ভেসে যাওয়া বাঙ্গালীদের জন্য কত টাকার অনুদান দিয়েছে?এক পয়সাও না! বরং বিপরীতে তার পক্ষ থেকে বড় অংকের অনুদান পেয়েছে হিলারী ক্নিনটন।

অপর দিকে, হিলারীর বিপক্ষে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিরোধীতায় কেমন যেনো একটি সন্দেহ হয়। সঠিক বনি-বনাটা কি তাহলে আওয়ামী লীগের সাথে না হয়ে ডা. ইউনুসের সাথে হলো? আর জন কেরী কি তাহলে হিলারীর পক্ষ থেকে হাসিনাকে চুপ করার জন্য থ্রেট দিয়ে গেল?

মূল কথা, এই সমস্ত রাজনৈতিকদের কারণে বাংগালীদের জীবন-যাপন আমেরিকায় কতটুকু নিরাপদ? প্রবাদ আছে, পাটা-পুতায় ঘসাঘসি আর মরিচের জান শেষ। সেই রকমই একটা অবস্থায় জনগনকে নেওয়ার সুযোগ খুঁজছে দালাল রাজনৈতিকরা। তাদের  প্রতিটি কাজে জনগণের সুবিধার বদলে অসুবিধার হার থাকে বেশী। কেননা নিজস্ব স্বার্থটাই এদের কাছে প্রথম। তারপরও আমরা এদেরই মুখাপেক্ষী।

লেখিকা: ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট