দেশে ২ লাখ মানুষ ‘ডাউন সিনড্রোমে’ ভুগছে

ঢাকা: বিশ্বে প্রতি ৮শ শিশুর মধ্যে একজন ‘ডাউন সিনড্রোম’ শিশু জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে ২ লাখ লোক ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। এসব ব্যক্তিরা সমাজে অবহেলিত। অথচ ডাউন সিনড্রোম কোন রোগ নয়। বরং এটি শরীরের একটি জেনেটিক পার্থক্য (ভিন্নতার মাত্রা) এবং ক্রোমজমের একটি বিশেষ অবস্থা।

গবেষকরা বলছেন, ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির দেহ কোষে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজম থাকে। যাকে Trisomy 21 বলে।
মঙ্গলবার ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারের আরসি মজুমদার অডিটরিয়াম আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন দেন।

বক্তারা বলেন, সাধারণত চাপা মুখ, চিবুক, ঘাড় ও চোখ ছোট হয় ডাউন সিনড্রোম শিশুদের। অন্যদের তুলনায় এরা দেরিতে বসে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে। কথাও বলে দেরিতে। সব মিলিয়ে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সমস্যা দেখা দেয়।
অথচ অনেক অভিভাবক জানেন না, ডাউন সিনড্রোম সন্তানের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করতে হবে। কীভাবে তাকে অন্যান্য সাধারণ মানুষের মত গড়ে তুলতে হয়।

সঠিক যত্ন, পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম শিশু স্বাভাবিক শিশুর মত পড়ালেখা করে স্বনির্ভর হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

আমদা বাংলাদেশ ডাউন সিনড্রোম প্যারেন্টস সার্পোট গ্রুপ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল (জেবিএফএইচ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের (ঢাবি) যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবী এবং ডাউন সিনড্রোম অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।