দালাল ছাড়া কাজ হয়না পাসপোর্ট অফিসে!

ঢাকা: পাসপোর্ট করতে এসে প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছে মানুষ। অনলাইনের ফরম পূরণ এবং বেসরকারি ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পাসপোর্ট অফিসগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য কমেনি। কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে দালালদের সহযোগিতায় চলে পাসপোর্টের কাজ। মূলত এমন কর্মকর্তার কারণেই কমছে না দালালদের দৌরত্ম্য। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক বলছেন, এর জন্য দায়ী পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের অসচেতনতা।

আগারগাঁও পাসর্পোট অফিসকে ঘিরে দালালের সংখা প্রায় ২শ’। যেখানে সাধারণ পাসপোর্ট করতে লাগে ৩,৪৫০টাকা। সেখানে দালালের মাধ্যমে করতে টাকা খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আবার জরুরী পাসপোর্ট করতে লাগে ৬,৯০০ টাকা। সেই পাসপোর্ট দালালের কাছ থেকে গ্রাহক পায় ১৪ হাজার টাকায়। যদিও সময়মতো পাসর্পোট পাওয়া নিয়ে সন্দেহ থাকে।

পাসপোর্ট করতে আসা এক নারী বলেন, দালালরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট করে দেয়ার কথা বলে। দালালদের বড় ব্যবসা ফরম পূরণ করে দেয়া। এর জন্য নেয়া হয় ১শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা। সত্যায়িত করে দেয়ার জন্য নেয় ৫শ’ টাকা।

এ টাকার একটি অংশ যায় কিছু কর্মকর্তার পকেটে। পাসর্পোট করতে আসা মানুষ যেন সরাসরি ফরম জমা দিতে না পারে সে জন্য বাধা তৈরী ও নিয়মকানুনের দোহাই দিয়ে আটকে রাখে কর্মকর্তারা। তবে দালাল ধরলে একই আবেদন জমা নেন তারা।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট করতে আসা এক ভূক্তভোগী বলেন, সত্যায়িত করা ফরম যখন নিজে জমা দেয়ার জন্য দেয়া হয় তখন সত্যায়িত হয়নি বলে বিদায় করে দেয়। পরের দিন যখন ১৫শ’ টাকা দিয়ে একই ফরম দালালকে দেয়া হয় তখন অফিস সেই ফরম জমা নেয়। আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্য দালালরা ৪শ’ টাকা নেয়।

তবে দালালের মাধ্যমে কাজ না করাতে গ্রাহকদের অনুরোধ করেছেন আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক। বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক এ টি এম আবু আসাদ বলেন, দালাল না ধরে অফিসের ভেতরে এসে যোগাযোগ করলে গ্রাহকদের সুবিধা হবে। অফিসে এসে কথা বললে তো আর দালালদের ধরতে হয়না। দালালরা পুলিশকে টাকা দিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যায়।

এক দালাল বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের ভিতরের আনসার, পুলিশ, স্টাফ সবাইকে টাকা দিতে হয়। যদি তারা টাকা না নেয় তাহলে তাদের পকেটে এত টাকা কিভাবে আসে? আর আমরা কিভাবে কাজ করি?