খালেদা জিয়ার অপরাধ প্রমাণিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন অপরাধ আদালতে সত্য প্রমাণিত, ফলে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই বলে মত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

বুধবার (০১ মার্চ) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, অজুহাত না তুলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যে ভুল করেছেন তার মাশুল আজ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। তাই বাহানা না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সমৃদ্ধির যাত্রাকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। পদ্মাসেতুতে কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশের অগ্রগতি-অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে শত শত মানুষ পুড়িয়ে ছারখার করা হয়েছিল। এমনকি কিছুদিন আগেও নির্বাচন কমিশন গঠন করা নিয়ে সংসদের বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি বাহানা তোলে। তারা বাহানা-অজুহাত তুলে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে বলেই, তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।

তিনি আরও বলেন, তারা আবার নতুন করে বাহানা ধরেছে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার করতে হবে এবং সেই সহায়ক সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হবে।

‘আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই, আমাদের সংবিধানে সহায়ক সরকার বলে কোনো কমিশন নেই এবং নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সরকার থাকবে। শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনা করবেন।’

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় আরও অংশ নেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, আয়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ হাসান ইমাম খাঁন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম প্রমুখ।