রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রভাব নেই কাঁচাবাজারে

ঢাকা: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে তার প্রভাব নেই রাজধানীর কাঁচাবাজারে। গণমাধ্যমের সামনে পণ্যের দাম কম বলা হলেও ক্রেতাদের কাছে ঠিকই তা বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

একই অবস্থা মাছ বাজারেও, কমেনি ইলিশ, রুই, চিংড়ি সহ অন্যান্য মাছের দাম। তবে, সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, আর খাসির গোসত।

রাজধানীর মালিবাগ সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজারে একজন সবজি বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিলো, টমেটোর দাম কতো, উত্তর দিলেন ৬০ টাকা কেজি। কিন্তু ৫ মিনিট পরই যখন সেখানে একজন ক্রেতা এলেন বিক্রেতা তার কাছে টমেটো বিক্রি করলেন ৮০ টাকা দরে।
বাজারে সবজির সরবরাহে নেই কোনো ঘাটতি। তিন ধরনের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে। দেশি শসা ৫০ টাকা আর হাইব্রিড বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
ক্রেতাদের দাবি, প্রত্যেকটি সবজির দাম বেড়েছে, যদিও বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়েনি কোনোটিরই।

কোনো পরিবর্তন নেই মাছ বাজারেও, আকারভেদে এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। চিংড়ি, টেংরা, পাবদা, বেলে সব ধরনের নদীর মাছ ছাড়াও বেড়েছে চাষের মাছের দামও।

তবে সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেয়া দামেই বাজারে প্রতিকেজি গরুর গোসত ৪২০ টাকা আর খাঁসির গোসত বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। কেজিতে ১৫ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা দরে।