সর্বনিম্ন পর্যায়ে দেশীয় পেঁয়াজের দাম, হিমাগার না থাকায় ক্ষতির মুখে কৃষকরা

দেশে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়া সত্বেও রহস্যজনক কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ব্যাপকহারে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।  ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের পে। দেশীয় পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারতীয় পেঁয়াজে বাজার সয়লাব হওয়ায় দামও নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯ থেকে ১০ টাকা দরে।

পচনশীল পণ্য হওয়ায়, গুদামজাতের সুযোগ না থাকায় কম দামেই পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

দেশে প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও এ বাজার অনেকাংশে আমদানি নির্ভর। বিশেষ করে ভারত থেকেই আসে চাহিদার অন্তত ৮০ শতাংশ পেঁয়াজ। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাসের পুরোটাই দেশীয় পেঁয়াজে বাজার সয়লাব থাকে। এরমধ্যে আবার পেঁয়াজ আমদানি করায় মার খেয়ে যাচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজের বাজার। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশের কৃষক।

এমনিতেই গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম ছিলো। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে এসে দাম আরো পড়তির দিকে।

এ অবস্থায় বর্তমানে পাইকারি বাজারে আমদানি মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি এক থেকে দুই টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেই রয়েছে পেঁয়াজের ৫০টির বেশি আড়ত। যেখানে প্রতিদিন আড়াইশ টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়।