সেই শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের প্রতিবেদন আদালতে

পিয়ার সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের

না’গঞ্জ: জেলার বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলায় আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।

এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছিল।

দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ সম্প্রতি চারজনকে সাক্ষী দেখিয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

গত বুধবার বিকালে না’গঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ১৬১/৪১৭/৪০৬/৪২০ ধারায় আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

তিনি জানান, মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৪ মে প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সেদিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।

জানা গেছে, আবদুল গাফফার, হাসিনা বেগম ঝর্ণা, হেনা বেগম ও স্কুলের অভিভাবক কমিটির সদস্য মোবারক হোসেনকে সাক্ষী দেখিয়ে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেয়ার জন্য শ্যামলকান্তিকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরও এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি। পরে দাবিকৃত এক লাখ টাকাও দেয়া হয়।

কিন্তু মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তির দরখাস্ত কোনো দফতরেই প্রেরণ করেননি প্রধান শিক্ষক শ্যামলকান্তি। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ মে কোনো টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার ভূমি তদন্তও করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর এবং শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে শ্যামলকান্তিকে আসামি করে পৃথক তিনজন বাদী হয়ে না’গঞ্জ আদালতে তিনটি মামলার আবেদন করেন।

আদালত ওই দিন বিকালে শুনানি শেষে প্রথম দুটি মামলা খারিজ করে দেন। তবে মোর্শেদা বেগমকে প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।