৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব সংসদে

বাজেট ২০১৬-২০১৭

ঢাকা: ‘প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রযাত্রা’- প্রত্যয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬- ১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করছেন।

এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। অর্থমন্ত্রী নিজেই সব সময় তার দেওয়া বাজেটকে উচ্চাভিলাষী আখ্যায়িত করেন। তিনি মনে করেন, জনগণকে বড় সেবা দিতে হলে বড় বাজেটের প্রয়োজন।

জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ে তুলতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাজেট ঘাটতি এবারও ৫ শতাংশই ধরা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

এর আগে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে ৩ টায় সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী অর্থমন্ত্রীকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করার আহক্ষান জানান।

এরপর সাদা পায়জামা, হালকা জলপাই রংয়ের পাঞ্জাবি এবং কালো মুজিবকোট পরিহিত অর্থমন্ত্রী দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় বাজেট অধিবেশনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সম্পূরক এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এবং অন্যান্য আন্দোলন সম্মেলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অপ-রাজনীতির শিকার হয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন কিংবা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নিজ আসনে বসে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআর কর থেকে আয় হবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আসবে ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং কর ব্যতিত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।

বাজেটের অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৩৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা, এরমধ্যে ব্যাংকিংখাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।