সীমান্ত হাট: ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা

ফেনীর ছাগলনাইয়ার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে অসম বাণিজ্যের কারণে হাটে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে এ হাটের ক্রেতারা করবিহীন সস্তায় ভারতীয় পণ্য নিয়ে অনেকেই কথিত বৈধ কালো বাজারিতে জড়িয়ে পড়ছেন । এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন জেলার ব্যবসায়ীরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, সীমান্ত হাটের পণ্য নিয়ে ব্যবসার সুযোগ নেই। ধরতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেনীর ছাগলনাইয়ার হিছাছড়া গ্রামের এক যুবক মধুগ্রাম ও শ্রীনগর বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত হাটের ভেতর অকপটে স্বীকার করলো সেখানে বৈধভাবে চলছে বিশাল চক্রের জমজমাট অবৈধ ব্যবসা। সীমান্ত বাসীদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানো ও বাণিজ্য প্রসারে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চালু হয় এ সীমান্ত হাটটি। প্রথমে এ হাটের আশপাশের গ্রামবাসীদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বেচাকেনার জন্য চালু হয়। কিন্তু দু’বছর না গড়াতেই প্রতি মঙ্গলবার এখন দেশের দুর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা গাড়ি হাঁকিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে হাটে। ফিরছে ভারতীয় মেয়াদবিহীন পণ্য নিয়ে।

সংশ্লিষ্টদের হিসেব মতে, প্রতি বাজারে বাংলাদেশি ২৭ দোকানির গড়ে আড়াই লাখ টাকার বিপরীতে ভারতীয় ২৭ দোকানি বিক্রি করছে ২৫ লাখ টাকারও বেশি।

ক্রেতারা জানান, অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ ভারতীয় পণ্য এখানে বিক্রি করা হয়। যেসকল ভারতীয় পণ্য বিক্রি করা যাবে না সেগুলোর একটি তালিকা দেওয়া আছে অথচ নিষিদ্ধ পণ্যগুলোও বিক্রি করা হয় বলে জানান তারা।

বিজিবি’র ফেনীর ৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল ইসলামের দাবি, হাটের নিরাপত্তা ছাড়া ব্যবস্থাপনা ও দেখভালের দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অনেকে চলে আসে যেটা আইন বহির্ভূত। এটা উপজেলা প্রশাসনের এখতিয়ার ভুক্ত, এগুলো তারা জানেন। আশা করি ভবিষ্যতে বাইরের লোক যাতে ওখানে যেতে না পারে সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নেবে।’

অন্যদিকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানালেন, সীমান্ত হাটের পণ্য নিয়ে ব্যবসা প্রতিরোধে সচেষ্ট তারা।

তিনি বলেন, ‘নিয়মিত ব্যবহারের জন্য এখানকার পণ্য কিনতে পারবে, কিন্তু কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে এগুলো কেনার কোন সুযোগ নাই। যদি কেউ ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে কিনে থাকে তাহলে আমরা পুলিশ এবং বিজিবি মিলে ব্যবস্থা নেবো।’

গত ২৪ আগস্ট দু’দেশের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সভায় সীমান্ত হাট ভারতের দুদিন বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ।