পবিত্র শাওয়াল মাসে ৬টি রোযার ফযীলত

মুফতী আবূ সাফওয়ান: প্রকাশ থাকে যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সুন্নত আমলের দ্বারা প্রতিটি ফরয আমলকে পূর্ণতা দান ও সৌন্দর্যম-িত করেছেন। পবিত্র মাহে রমাদ্বানুল মুবারকের ফরয রোযার ক্ষেত্রেও এই নিয়মই বলবৎ রয়েছে। যেমন পহেলা শাওয়াল শরীফ বাদ দিয়ে পবিত্র শাওয়াল শরীফ মাস উনার বাকি দিনগুলোতে ৬টি রোযা সুন্নত সাব্যস্ত করা হয়েছে, উক্ত ফরয রোযাকে পূর্ণতা ও সৌন্দর্য দানের উদ্দেশ্যে।

এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “পবিত্র শাওয়াল শরীফ উনার ৬টি রোযা ফরয নামাযের পরবর্তী সুন্নত নামাযের ন্যায় ফযীলতপূর্ণ। এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ফরযে সংঘটিত ত্রুটি-বিচ্যুতি, ক্ষয়-ক্ষতি দূরীভূত করে পূর্ণতা দান করেন। আর নিশ্চয়ই ক্বিয়ামত দিবসে ফরযসমূহ নফলসমূহের দ্বারা পূর্ণতা লাভ করবে।”

এ রোযার ফযীলত প্রসঙ্গে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা রাখার পর পবিত্র শাওয়াল শরীফ মাসের ৬টি রোযা রাখলো সে যেন পূর্ণ বছর রোযা রাখলো।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)

অপর রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, পবিত্র শাওয়াল শরীফ মাসে ৬টি রোযা পালনকারীকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি সম্বোধন করে বলেন, “হে আমার বান্দা! তোমরা আমার সন্তুষ্টির আশায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা পালন করেছো এবং পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের ৬টি রোযাও পালন করেছো। সুতরাং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া আমার উপর আবশ্যক হয়ে পড়েছে।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, এ ৬টি রোযা রাখার উত্তম বা মুস্তাহাব নিয়ম হচ্ছে- ৬টি রোযা একাধারা না রেখে বরং দু’একদিন বাদ দিয়ে রাখা।