নাস্তিকদের নিয়েই ‘শিক্ষা কমিটি’: সিলেবাসে পুনরায় সংযোজিত হচ্ছে নাস্তিক্যবাদ

ডেস্ক: দেশব্যাপী মুসলমানদের ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে যেসব গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ বাদ দেয়া হয়েছিলো; সেগুলো আবারো সংযোজিত হচ্ছে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের দাবিতে। পাঠ্যবই থেকে ‘ও-তে ওড়নার’ বদলে ‘ওজন’ শব্দ ও ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ রকম আরো কিছু বিষয় পরিমার্জন করে আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা বই থেকে ব্যাপক সমালোচিত যে বিষয়গুলো ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে সাংঘর্ষিক ছিলো সেগুলো কিছু বাদ দেয়া হয়েছিল; কিন্তু সে বিতর্কিত বিষয়গুলো ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করছে সরকারের গঠিত ‘শিক্ষা কমিটি’। ইতোমধ্যে নাস্তিক্যবাদী ওই কমিটি বিতর্কিত প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।

চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে বিশেষ করে বাংলা ও আনন্দপাঠে মুসলমানদের প্রতিবাদের মুখে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়। প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে ভুলত্রুটি ও অসংগতি কম থাকলেও কয়েকটি বিষয় স্পর্শকাতর হওয়ায় সমালোচনা করে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠী। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে ‘ও’ বর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি এ ধরনের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদীদের সমালোচনার মুখে পড়ে।

নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে কথিত ‘শিক্ষা কমিটি’-
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম ও দশম শ্রেণীর ১২টি বইয়ের মধ্যে বাংলা সাহিত্য বইটি পরিমার্জনের নেতৃত্বে আছে কখ্যাত নাস্তিক শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের নেতৃত্বে অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নেতৃত্বে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের নেতৃত্বে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম এবং গণিত, উচ্চতর গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান এই ছয় বিষয় পরিমার্জনে নেতৃত্বে আছে কুখ্যাত নাস্তিক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কায়কোবাদ। হিসাববিজ্ঞানে অধ্যাপক মীজানুর রহমান ও অর্থনীতি বিষয়ে পরিমার্জনের নেতৃত্বে আছে অধ্যাপক এম এম আকাশ।

কমিটি সূত্রে জানা যায়, কথিত শিক্ষাবিদরা ইতোমধ্যে তাদের কাজ প্রায় শেষ করেছে।

কমিটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে পাঁচটি কুখ্যাত ও বিতর্কিত পদ্য বাদ দেয়া হয়। সেগুলো হলো জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের ‘আমার সন্তান’, লালন বাউলের ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’। বাদ দেয়া গদ্যটি হলো ভ্রমণকাহিনী ‘পালামৌ’। এসবের পরিবর্তে কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, কবি আলাওলের ‘হামদ’, কবি আবদুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, কবি গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর ফারুক’ কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু নাস্তিক্যবাদীরা আবারো সে-ই কুখ্যাত ও বিতর্কিত পদ্য-গদ্যগুলোই বা অনুরূপগুলোই অন্তর্ভুক্ত করতে জাতিবিদ্বেষী সুপারিশ প্রস্তুত করেছে।