২৮ তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেল পাবনায়

ডেস্ক: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মোবারকপুরে সম্পূর্ণ নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। এটি দেশের আবিষ্কৃত ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো ২০১২ সালে কুমিল্লায় (শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র)।

সম্পূর্ণ নতুন বৈশিষ্ট্যের ভূ-কাঠামোয় (স্টেটিগ্রাফিক স্ট্রাকচার) এই ক্ষেত্রটির অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ক্ষেত্র থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গ্যাস উত্তোলনের জন্য আরেকটি কূপ খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, গ্যাসক্ষেত্রটিতে খনন করা অনুসন্ধান কূপ থেকে কয়েক দিন ধরে গ্যাস উঠেছে। কূপের ওপরে স্থাপিত পাইপ দিয়ে গ্যাসের উদ্গিরণ শুরু হলে তাতে আগুন দিয়ে অগ্নিশিখা প্রজ্বালন করা হয়, যা কোনো ক্ষেত্রে গ্যাসের অবস্থানের প্রমাণ।

গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কারের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নওশাদ ইসলাম বলেন, মোবারকপুর ক্ষেত্রে গ্যাসের অবস্থান সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাপেক্স মনে করছে, মোবারকপুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তোলার মতো গ্যাস পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ২৭টি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। পাবনার মোবারকপুরে সম্পূর্ণ নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ফলে তা এখন ২৮ এ এসে দাঁড়াল। প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। এটি ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি কর্তৃক আবিস্কৃত হয়। প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।