ফের গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু

রাজধানীর যেসব এলাকায় কাল গ্যাস থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এরপর এক বছর পার না হতেই আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিইআরসি সূত্র জানায়, এবার গৃহস্থালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুই চুলার জন্য মাসিক বিল ১২০০ টাকা এবং এক চুলার জন্য ১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর গ্যাসের এই বর্ধিত দামেরপ্রস্তাব দ্রুত নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসেই গণশুনানির আয়োজন করা হতে পারে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খান জানান, সব কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসির অভ্যন্তরীণ বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। এখন প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হবে। ঈদের আগেই তা হতে পারে।
বিইআরসির সূত্র বলেছে, এবার সব গ্রাহকশ্রেণীর ক্ষেত্রেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বাসাবাড়ি ও সিএনজি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন বলে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো।

এর আগে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিকসহ কয়েকটি শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তখন দুই চুলার বিল ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা এবং এক চুলার বিল ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছিল।
বিইআরসি আইন, ২০০৩ অনুযায়ী কোনো সংস্থা এক বছরের মধ্যে দুবার দাম বাড়ানোর আবেদন করতে পারে না।

সূত্র জানিয়েছে, সরকার বাসাবাড়িতে নতুন করে গ্যাস-সংযোগ তো বন্ধ করেছেই, এখন পাইপলাইন গ্যাসের ব্যবহারও নিরুৎসাহিত করতে চায়। এ ছাড়া দেশের অধিকাংশ মানুষ পাইপলাইনের গ্যাস পায় না। তাদের অনেকেই বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করে, যার দাম অনেক বেশি। এই দুই ধরনের ব্যবহারকারীর মধ্যে বৈষম্য কমানোও সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সে কারণে বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়ে থাকতে পারে।

সিএনজির দাম বাড়ানো হবে যানবাহনে ব্যবহৃত তরল জ্বালানির (পেট্রল, অকটেন) দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য। এর আরেকটি উদ্দেশ্য, দ্রুত কমে আসা দেশের গ্যাসের ওপর থেকে বাড়তি চাহিদার চাপ কমানো।
সব গ্রাহকশ্রেণীর গ্যাসের দাম সর্বশেষ বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। তারপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।