সেনা নিয়ন্ত্রণে সিলেটের আতিয়া মহ

সিলেট: দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গি আস্তানা ঘিরে চলা অভিযানের চতুর্থ দিন শেষে পাঁচ তলা ওই আতিয়া মহলে চারজনের লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

ওই বাড়িতে তিন পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির থাকার তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছিলেন জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফখরুল আহসান বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।

ওই বাড়িতে ব্যাপক বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযান এখনও শেষ হয়নি।

আতিয়া মহল ঘিরে এই অভিযান, তার পাশেই পাঠানপাড়া জামে মসজিদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ব্রিফিং হবে বলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আগের দিন বিকালে সেখানেই ব্রিফিং করে অভিযানের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন সেনা সদর দপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

তিনি জানিয়েছিলেন, অন্তত দুই জঙ্গি ভেতরে মারা পড়েছে, আরও একাধিক জঙ্গি ভেতরে থাকতে পারে।

সোমবারও সকাল থেকে দফায় দফায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা সন্ধ্যার আগে আগে জানান, পাঁচতলা ওই ভবনের ভেতরে মোট তিনজনের লাশ পেয়েছেন তারা।

“নিচতলায় ছিল এক নারী ও এক পুরুষের লাশ। দোতলায় ছিল আরেকটি।”

আতিয়া মহলের দিকে যাওয়ার দুটি রাস্তার দুই মাথায় ব্যারিকেড দিয়ে সংবাদকর্মীদের অবস্থানের সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল।

এর মধ্যে বন্দর ঘাট থেকে শিববাড়ির দিকের রাস্তার ব্যারিকেড সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর ওই সড়কের দিকে এগোলে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

তবে অভিযান শেষ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শিববাড়ি পাঠানপাড়ার ওই ভবন ঘিরে ফেলে পুলিশ। শনিবার সকালে শুরু হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’।

সেনাবাহিনী এই অভিযানের দায়িত্ব নেওয়ার পর শনিবার ব্যাপক গোলাগুলির মধ্যে বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করেন কমান্ডোরা।

এই অভিযানের মধ্যেই সেদিন সন্ধ্যায় আতিয়া মহল থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এক জায়গায় দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন।