কুরবানি বন্ধের পায়তারা মুসলমান সহ্য করবে না

মুহম্মদ আব্দুর রাহমান মাছুম: মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার পাকড়াও বড় কঠিন।”
সরকার ও তার মন্ত্রিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছে-
‘সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যত্র পবিত্র কুরবানির পশু যবেহ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ নাউযুবিল্লাহ! তারা এটাও বলেছে যে ‘কোরবানীর বর্জের কারণে নাকি পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হবে।’ নাউযুবিল্লাহ!

সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে যে- সরকারের জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কোনো আদেশ ও নিষেধের উপর হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।
আরো স্মরণ রাখতে হবে যে- মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণে বহু ধরনের ফিতনা-ফাসাদ সংঘটিত হবে।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিজড়িত  এবং সামর্থবান মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব আমল পবিত্র কুরবানি নিয়ে চক্রান্ত হচ্ছে।  ইসলামী সংস্কৃতির অবি্ছেদ্য অংশ কুরবানির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চাইলে এদেশের জনগণ তা রুখে দিবে। পাশ্ববর্তী দেশের হুকুম অনুযায়ী খোড়া অজুহাতে কুরবানীর বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মুসলমানরা জীবন দিয়ে রুখবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও কতিপয় পরিবেশবাদীদের এ সমস্ত অযৌক্তিক চিন্তাপ্রসূত বক্তব্য মুর্খতার শামিল। ইতোপূর্বে তো কোন পরিবেশের সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে পরিবেশ বিনষ্ট অজুহাত কেন তোলা হলো তাও ভাবতে হবে। যানজটের অযুহাতে পশুর হাটগুলো দূরে সরিয়ে দেয়া হয়, অথচ ভয়াবহ যানজট রাজধানীর নিত্যদিনের চিত্র। কুরবানিতে বিঘ্ন সৃ্টি করাইযে এসবের মূল কারণ তা এদেশের মানুষ ভালোভাবেই বুঝে। কাজেই পরিবেশ বা যানজটের দোহাই দিয়ে কুরবানী বন্ধের অপরিণামদর্শী প্রতারণা থেকে বিরত থাকলে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণ হবে। অন্যথায় অকল্যাণই বয়ে আনবে।

অতএব, সরকারকে অবশ্য অবশ্যই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

সুতরাং মুসলমানরা কখোনই সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বরং তাদের বক্ত্যব্যকে জনগনের সামনে ভুল স্বীকার না করলে  এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে। তাছাড়া মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।

লেখক: মুহম্মদ আব্দুর রাহমান মাছুম
আইন ও শরীয়াহ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়