আমেরিকা ‘কাগুজে বাঘ’: ইরান

আমেরিকা ‘কাগুজে বাঘ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী মার্কিন অত্যাধুনিক গোয়েন্দা ড্রোন ‘গ্লোবাল হক’ ভূপাতিত করার ঘটনায় বিশ্ববাসী জেনে গেছে, আমেরিকা আসলে একটি কাগুজে বাঘ। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদে এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বৃহস্পতিবার তেহরানে এক সামরিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরো বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমরসজ্জা প্রদর্শন করে তেহরানের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করার যে কৌশল আমেরিকা নিয়েছিল ড্রোন বিধ্বস্ত করার ঘটনায় তা ভণ্ডুল হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম যে, আমেরিকা ইরানের ওপর হামলা করবে না বরং হামলার আবহ তৈরি করে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে নিতে বাধ্য করাই ছিল মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সমরসজ্জার পেছনে আমেরিকার মূল উদ্দেশ্য।” কিন্তু মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে তেহরান ওয়াশিংটনের সে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন গত ২০ জুন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে। একইসঙ্গে ওই ডিভিশন জানায়, ড্রোন ভূপাতিত করার সময় একই এলাকার আকাশে ৩৪ জন সৈন্যবাহী একটি মার্কিন সামরিক বিমান থাকলেও সেটিকে গুলি করা হয়নি। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে ওই সামরিক বিমানে আঘাত না হানার জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানান।

জেনারেল হাজিযাদে বৃহস্পতিবার তার বক্তব্যে আরো বলেন, সমরাস্ত্র ও শক্তিমত্তার দিক দিয়ে ইরান আজ এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যে, তার পক্ষে আমেরিকার অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমানও গুলি করে ভূপাতিত করা সম্ভব। সেইসঙ্গে এমন ঘটনার পর আমেরিকা শুধু যে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তা নয় সেইসঙ্গে দেশটির সামরিক বিমানে গুলি না চালানোর জন্য তেহরানের কাছে কৃতজ্ঞতাও জানায়।

জুন মাসে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার আগে পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কনকে পাঠায় আমেরিকা। যেকোনো মুহূর্তে ইরানের ওপর হামলা করা হবে এমন একটি অবস্থানে পৌঁছে যায় ওয়াশিংটন। কিন্তু মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার পর থেকে আর আমেরিকার পক্ষ থেকে কোনো রণহুঙ্কার শোনা যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন শুধু ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন।-পার্সটুডে