হাসনাতের নিখোঁজে প্রশ্ন অ্যামনেস্টির, সন্ধান চেয়ে আবেদন পরিবারের

ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযানের পর উদ্ধার পাওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজাউল করিম পুলিশ নিয়েগিয়েছিলো জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে। কিছুদিন পরে সংবাদ জানা যায়, পুলিশ হাসনাতকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন হাসনাত কোথায় কীভাবে আছেন, তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা।
অবিলম্বে তার সন্ধান জানানোর আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে দ্রুত আদালতে তোলা না হলে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
হাসনাত রেজাউল করিমের সন্ধান চেয়ে পুলিশে আবেদন করেছে তার পরিবার।
গত ২ জুলাই অভিযানের পর উদ্ধার অন্যদের সঙ্গে হাসনাতকেও ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশ জানালেও হাসনাতসহ দুজনের সন্ধান মিলছে না বলে তাদের পরিবারের দাবি।
হাসনাতের বাবা এম আর করিম বলেন, ‘সোমবার সকালে ছেলের সন্ধান চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ও মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’
হাসনাত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। গুলশানের ওই ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যায় জড়িত এক যুবকও বেসরকারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
ওই হামলার বিষয়ে হাসনাতকে সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তার সঙ্গে উদ্ধার তাহমিদ হাসিব খানকেও সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু হাসনাত ও তাহমিদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেও দুজনের বিষয়ে সন্দেহমুক্তি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য পুলিশ দেয়নি। এই ঘটনার মামলায়ও তাদের আসামি করা হয়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে বলেন, ‘যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ এখন পুলিশের কাছে নেই।’
কিন্তু দুজনের পরিবারই বলছে, হাসনাত ও তাহমিদ বাড়ি ফেরেনি।
পুলিশ অস্বীকার করলেও এই দুজনের পরিবারের সন্দেহ, তাদের সন্তানরা ডিবির কাছেই রয়েছে।