ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হলো মুফতি হান্নানসহ ৩ সন্ত্রাসবাদীকে

ঢাকা: রাত দশটায় ফাঁসির দড়িতে ঝুললো তিন সন্ত্রাসবাদী। দু’জন কাশিমপুর কারাগারে ও একজন সিলেটের কারাগারে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত দশটায় সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান ও সন্ত্রাসবাদী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। একই সময়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে সন্ত্রাসবাদী দেলোয়ার হোসেন রিপনের।

কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামি ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এক আসামির একই সময়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।

সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রাত দশটা ৫ মিনিটে ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালে হত্যা চেষ্টার দায়ে আদালতের রায় অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

একই সময়ে সিলেটে কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে সন্ত্রাসবাদী দেলোয়ার হোসেন রিপনের। জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন সন্ত্রাসবাদীর একজন রিপন।

‘মুফতি’ হান্নানকে তার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের বাড়ি, রিপনকে তার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বাড়ি এবং বিপুলকে তার চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের ‘বকশি পাটওয়ারী বাড়ি’তে স্ব স্ব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এজন্য ময়না তদন্ত শেষে কারাগার থেকে বের করে তাদের মরদেহ যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি মাজার প্রাঙ্গনে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৫ আসামির মধ্যে ‘মুফতি’ হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।