১৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল ট্রান্সপোর্ট চুক্তি

চাঁদপুরকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা হবে

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রান্সপোর্ট চুক্তির আইটেম সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব উঠছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি টাকা। ‘টেকনিক্যাল এসিস্টেন্স ফর সাব-রিজিওনাল রেল ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটি’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সংশোধিত টিপিপির প্যাকেজ নং এসডি-১ ‘কন্সালটেন্সি সার্ভিসেস ফর ফিজিবিলিটি স্টাডি অ্যান্ড ডিটেইল ডিজাইন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট (আরসিআইপি)-এর জন্য প্রথম ভেরিয়েশন (সরাসরি) ক্রয় প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বুধবারের সভায় অনুমোদন করা হতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে প্রকল্পের অনুমোদিত চুক্তিপত্রের চেয়ে সংশোধিত প্রকল্পের আইটেমের পরিমাণগত হ্রাস, বৃদ্ধি, নতুন আইটেম সংযোজন এবং আয়কর ও ভ্যাট বৃদ্ধি পায় প্রায় ৭৬ কেটি ৭৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ১০ টাকা। যা পূর্বের চুক্তি মূল্য থেকে শতকরা ৭২ দশমিক ৫৫ ভাগ বেশি। তাই বর্ধিত ব্যয় যুক্ত করে কনসোর্টিয়াম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যানারেইল কন্সালটেন্ট ইনকরপোরেশন, কানাডা (ক্যানারেইল) ইন জয়েন্ট ভেঞ্চার উইথ ডিবি ইন্টারন্যাশনাল জিএমবিএইচ (ডিবিআই), জার্মানি, এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (এসএমইসি), অস্ট্রেলিয়া, এসিই কনসালটেন্ট লিমিটেড (এসিই), বাংলাদেশ-এর অনুকূলে ১৮২ কোটি ৫৫ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯২ টাকা মূল্যে সংশোধিত ক্রয় চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে রেলওয়ে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে সব মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে পদ্মা রেল লিংক ও দোহাজারী-কক্সবাজার, রামু-গুনদুম রেলপথটি ডাবল লাইন করার নির্দেশ দেন। আবার একই বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন ও দোহাজারী-কক্সবাজার, রামু-গুনদুম নতুন রেল লাইন মিটারগেজ লাইনের পরিবর্তে ডুয়েল গেজ রেললাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কারণে জমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা প্রণয়নে সমীক্ষা, বিশদ ডিজাইন ও দরপত্র দলিল প্রণয়নে অতিরিক্ত স্টাডি ও ইনভেস্টিগেশনসহ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রকল্পের বেশ কিছু আইটেম হ্রাস, বৃদ্ধি ও কিছু আইটেম সংযোজনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।