কোন ফসল কতটা চাষ হবে তা জানাতে হবে -কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গতানুগতিক কাজ বাদ দিয়ে সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ফসলের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্ধারণ করে জানাতে হবে মন্ত্রণালয়কে। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক (নভেম্বর) এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডাল ও তৈল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যারা কাজ করছেন, তারা আগে থেকেই কী পরিমান বীজ উৎপাদন করবেন এবং তা থেকে কী পরিমান তৈল ও ডাল পাওয়া যাবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। কতজন কৃষককে কী পরিমান বীজ দেয়া হবে, তাও জানাতে হবে। বারি ও বিনাকে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান মন্ত্রী।
একইসাথে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে চিভ চাষ বাড়ানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে ধান ও চালের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র সরবরাহ করা হবে বলে জানান কৃষি সচিব। প্রতিটি গ্রামে দু’টি করে নিরাপদ সবজি চাষের জায়গা নির্বাচিত করা হয়েছে; কৃষি সম্প্রসারণের মহাপরিচালক এমনটি জানান সভায়। গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য গোপালগঞ্জ জেলায় ২০ একর জায়গাজুড়ে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান প্রতিটি জেলার বাজারে নিরাপদ খাদ্য কর্ণার স্থাপনের কাজ চলমান।