সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস

ছয় মাসে ১৭৫ একর রেলভূমি দখলমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯ পাস হয়েছে।  মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাস হয়। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

বিলে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউট চিনি, গুড়, সিরাপের পাশাপাশি মধু উৎপাদনের লক্ষ্যেও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। আগের আইনে সুগারক্রপের সংজ্ঞা নির্ধারিত ছিল না। সুগারক্রপের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আখ, সুগারবিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ এর আওতাভুক্ত হবে।

বিলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউটের কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিরোনাম পরিবর্তনসহ বিদ্যমান আইনটি অধিকতর সংশোধন ও হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

বিলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও কেন্দ্র পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে স্থাপনের বিধান করা হয়। তবে সরকারের পূর্বানুমোদক্রমে দেশের যেকোনো স্থানে এর আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে। এতে ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী, পরিচালনা, ইনস্টিটিউট কাউন্সিলের নির্দেশনা প্রতিপালনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।

বিলে ইনস্টিটিউট পরিচলানার জন্য প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালককে চেয়ারম্যান করে এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আরো ১২ জন কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি বোর্ড গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে বোর্ডের কার্যাবলী, বোর্ডের সভা, মহাপরিচালক নিয়োগ, পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারি নিয়োগ, তহবিল গঠন, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, কমিটি গঠন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, চুক্তি সম্পাদনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় পার্টিও কাজী ফিরোজ রশীদ, বেগম রওশন আরা মান্নান, ও বিএনপির রুমিন ফারহানা বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।

গত ১৮ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলেন কৃষিমন্ত্রী। পরে বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি চূড়ান্ত করার পর বিলটি পাস হয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি কার্যকর হবে।