সন্ত্রাসবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স

সন্ত্রাসবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ত্রাসবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২২ সদস্যের এ টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অর্থের অনুসন্ধান জোরদারের পাশাপাশি এ কার্যক্রম আরও সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে এই টাস্কফোর্স।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এ টাস্কফোর্সে অর্থমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী রয়েছেন। রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, সেবা সুরক্ষা সচিব, আইন সচিব ও পুলিশের মহাপরির্দশকও এ টাস্কফোর্সের সদস্য।

এছাড়া ডিজিএফআই, বিজিবি, এনএসআই, আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালকরা, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান ও জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেলের পরিচালক টাস্কফোর্সের সদস্য। জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই টাস্কফোর্সকে। প্রয়োজন হলে টাস্কফোর্স সভা আয়োজন করবে এবং সদস্য সংযুক্ত করতে পারবে।

এই টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে সন্ত্রাসবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে টাস্কফোর্স। সন্ত্রাসবাদের অর্থের জোগানদাতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সন্ত্রাস তৎপরতা রোধে নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করার উদ্যোগ নেবে। সন্ত্রাসবাদ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিচালিত যে কোনো অপতৎপরতা দমনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।

গত কয়েক বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সন্ত্রাসবাদে সংশ্নিষ্ট অনেক পুরুষ ও নারীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে আর্টিসান বেকারিতে সন্ত্রাস হামলার পর সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমে ব্যাপক মনোযোগ দেয় সরকার।